করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫৩ জন মারা গেছেন। মৃত্যুর এই সংখ্যা দেশে করোনার ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ । এ নিয়ে টানা অষ্টম দিনের মতো দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু একশ’র ওপরে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫ হাজার ৬৫ জনের।
রোববার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, ২৭ জুন ১১৯ জন, ২৮ জুন ১০৪ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ৩০ জুন ১১৫ জন। এরপর ১ জুলাই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়। ২ জুলাই ১৩২ জন, ৩ জুলাই ১৩৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৬৬১ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৯১৭ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৬৯৮ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৯৭ জন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৩১৫টি। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৮৭৯টি। এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৫৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ২৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছে ৮৮ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ জন মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ। আর নারী ৫৭ জন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ১০ হাজার ৬৭৬ জন এবং নারী ৪ হাজার ৩৮৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ১৫৩ জনের মধ্যে ৬০ ঊর্ধ্ব ৭০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১১ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন।
মৃত্যুদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪৬ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে ১২ জন, খুলনায় ৫১ জন, বরিশালে ৩ জন, সিলেটে ২ জন , রংপুরে ১৫ জন এবং ময়মনসিংহে ৯ জন মারা গেছেন। সরকারি হাসপাতালে ১১৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২২ জন এবং বাসায় ৯ জন মারা গেছেন। আর ৩ জনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত বছরের ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।