লকডাউনে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। কর্মস্থলে যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককেই। উপায় না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে, ভ্যান ও রিকশায় করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা রাইড শেয়ারিংয়ের গাড়ির দেখা মিললেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম। ভাড়াও অনেক বেশি।
সোমবার সকালে রাজধানীর খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখা যায়, কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য শত শত মানুষ গাড়ির অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু কোনো যানবাহনের দেখা নেই। গাড়ি না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটেই রওনা হন অফিসের উদ্দেশে। আবার অনেককেই ভ্যান ও রিকশায় করে কর্মস্থলে যেতে দেখা গেছে।
গাড়ি না পেয়ে এ প্রতিবেদক অনেকের সঙ্গে হেঁটে অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় অফিসগামী এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয় তার।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ওই ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানান, ভাই কী বলব, এখন আর কেউই লকডাউন মানছে না। অথচ সরকার লকডাউনের নামে গণপরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এ কষ্ট কে বুঝবে।
বেলাল নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, লকডাউন না দিয়ে সাধারণ জনগণকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করলেই করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। কিন্তু তা না করে লকডাউনের নামে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে।
রেজাউল করিম নামের এক ব্যক্তি জানান, তার বাসা মালিবাগ। আর অফিস কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায়। কিন্তু সকালে অফিসের আসার জন্য কোনো যানবাহন পাচ্ছিলেন না। উপায় না পেয়ে হেঁটেই অফিসের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। রামপুরা হাতিরঝিল ব্রিজ পর্যন্ত এসে পরে রিকশাযোগে কর্মস্থলে পৌঁছান।
তিনি আরও জানান, লকডাউনে গাড়ি বন্ধ থাকায় যেমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, সেই সঙ্গে বাড়তি টাকাও খরচ হচ্ছে।
আতাউর রহমান নামে আরেকজনের সঙ্গে কথা হয়। তার অফিসও কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায়। থাকেন গাজীপুরে। সেখান থেকে অফিসে আসতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে তার। এর মধ্যে বাসা থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত এসেছেন রিকশা করে। সেখানে থেকে পিকআপভ্যানে কর্মস্থলে এসেছেন। এ জন্য তাকে গুনতে হয় বাড়তি টাকাও।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তিন দিনের লকডাউনের প্রথম দিন আজ। চলবে আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে সব ধরনের গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। দোকানপাট ও শপিংমলও বন্ধ থাকবে।