ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। ২০১৫ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল।
অবৈধভাবে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার ও বিতরণ করার অপরাধে ২০১৯ সালে আরেকটি মামলা করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। তার প্রধান সহযোগী ছিলেন আনিসুর রহমান নামে একজন রিকশাচালক।
যে ব্যক্তি নিজেই এত অপরাধের সঙ্গে জড়িত, সেই ব্যক্তি নিজেই আত্মপ্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে। অর্থের বিনিময়ে সারাদেশে নিয়োগ দিচ্ছিলেন সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী।
বিলি করছিলেন ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাপ ও বিশেষ ধরনের জ্যাকেট। অবশেষে প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ (৩৫) নামে এ প্রতারক র্যাব-১১ সদস্যদের হাতে সহযোগী আনিসুর রহমানসহ গ্রেফতার হন।
সোমবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকা থেকে। মঙ্গলবার র্যাব-১১ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, দুটি মোবাইল, ব্যানার, জীবনবৃত্তান্ত ফরম ও তালাশ নিউজ-৭৯ টিভি নামে আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, বহুমুখী প্রতারক চক্রের মূলহোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ ওয়াকিটকি সেট, মনোগ্রামসংবলিত জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাপ দেখিয়ে নিজেকে একাধারে ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’র চেয়ারম্যান, তালাশ নিউজ টিভি-৭৯ ও দৈনিক সত্যের সংগ্রাম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।
এমনকি তিনি ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে ট্রাফিক পুলিশ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চাকরির আশ্বাস দিয়ে এবং তার কথিত টিভি চ্যানেল ও ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার’ সদস্যপদে ও নিউজ চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
পরে তার কাছে কেউ টাকা ফেরত চাইলে তার টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে তাদের নির্যাতনের হুমকি দিতেন।
অবৈধভাবে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার ও বিতরণ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানায় একটি মামলা হয়েছে। প্রতারক প্রদীপের প্রধান সহযোগী আনিসুর রহমান মূলত একজন রিকশাচালক বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজে তাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে আসছিলেন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়।