দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে আজ শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ৩৫৮ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে ২২ জনের মৃত্যু হয়। সেদিন ১ হাজার ২৯২ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৬০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।
দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ জন, মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫১১। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৬ হাজার ২২১ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।
এ বছরের মার্চ থেকে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। মার্চের প্রথমার্ধেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের ওপরে চলে যায়। বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৬ মার্চের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ জনের মৃত্যু খবর দেওয়া হয়, সেখানে এক মাস পর ২৫ এপ্রিলের বুলেটিনে ১০১ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়।
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল থেকে মানুষের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, যা এখনো বহাল। এই বিধিনিষেধে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা অন্তত দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।