গাছ থেকে পড়ে যাওয়া আহত কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাস চাপায় একই বাড়ির চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের ঘুইংগারহাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কমরউদ্দিন গ্রামের আব্দুল মাজেদের ছেলে মিরাজ উদ্দিন সিরাজ (৩৫), মো. সালামের ছেলে সোহাগ (১৮), আব্দুল লতিফের ছেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ এবং অটোরিকশা চালক মো. আজিজুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মো. সালামের ছেলে মো. সোহাগ (১৮) বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে পড়ে আহত হন। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মিরাজ উদ্দিন সিরাজ, ইউসুফ, মনির ও ঈমন আজিজুল ইসলামের অটোরিশায় করে ভোলা সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের অটোরিকশাটি ঘুইংগারহাট বাজার এলাকায় আসলে ভোলা থেকে চরফ্যাশনগামী বিসমিল্লাহ্ পরিবহন নামে যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটিকে চাপা দেয় এবং একটি যাত্রীবাহী বোরাককে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার বাইরে ফেলে দেয়।
এতে ঘটনাস্থলে অটোরিকশাচালক আজিজুল ইসলাম, যাত্রী মো. মিরাজ উদ্দিন সিরাজ, সোহাগ নিহত হন। পরে স্থানীয়রা অটোরিকশার ও বোরাকেরগুরুতর আহত পাঁচ যাত্রীকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতদের মধ্যে মো. ইউসুফ ও মনিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এদের মধ্যে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউসুফ মারা যান।
ঘটনার পর স্থানীয়রা জনতা ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের ঘুইংগারহাট এলাকার সড়ক অবরোধ করে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে প্রায় ২ ঘণ্টা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে তাদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নেন।
এদিকে নিহতদের পরিবারকে সরকারিভাবে ২০ হাজার টাকা ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসটিকে জব্দ করেছে। বর্তমানে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।