বগুড়ার আদমদীঘিতে ছাগল ফুলগাছ খাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করার ঘটনা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ছাগলের মালিকের অভিযোগ, তাঁর অনুপস্থিতিতে জরিমানা করে ছাগলটি ইউএনও আটকে রাখার পর বিক্রি করে দিয়েছেন। বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও বলেছেন, জরিমানার টাকা দিয়ে মালিক ছাগলটি নিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। তবে আইন–সংশ্লিষ্ট লোকজনের ভাষ্য, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি দিতে হলে উপস্থিত থেকে দায় স্বীকার করতে হয়। পশুটিকে খোঁয়াড়ে দেওয়া ভালো সমাধান হতে পারত।
ছাগলের মালিক সাহারা বেগমের ভাষ্য, আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বর পার্কের বাগানের ফুলগাছ খেয়ে ফেলে তাঁর ছাগল। এই অভিযোগে ইউএনও সীমা শারমিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে জরিমানা করা হয়। তিনি জরিমানার টাকা দিতে রাজি হননি। তাঁর অভিযোগ, ইউএনও সপ্তাহখানেক ছাগলটি আটকে রাখার পর পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদমদীঘি উপজেলা পরিষদ চত্বরের ডাকবাংলো–সংলগ্ন এলাকায় সাহারা বেগমের বাসায় তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তিনি দাবি করেন, ১৭ মে তাঁর ছাগলটি হারিয়ে যায়। তিনি অনেক জায়গায় খুঁজেও ছাগলটি পাননি। পরে এলাকার লোকজন তাঁকে জানান যে ছাগলটি ইউএনওর এক নিরাপত্তাকর্মীর কাছে আছে। তিনি ইউএনওর বাসার পাশে গিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মীকে দেখেন, তাঁর ছাগলকে ঘাস খাওয়াচ্ছেন। তিনি ছাগল নিতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মী তাঁকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ছাগল দেওয়া যাবে না। ছাগল ফেরত আনার জন্য একাধিকবার ইউএনওর অফিস ও বাসায় গেলেও সাহারা বেগমকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে তাঁর দাবি। তিনি অভিযোগ করেন, তিনি মানুষের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন যে তাঁর ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় ইউএনও বিক্রি করে দিয়েছেন। ইউএনওর বাসার গৃহকর্মী তাঁর (সাহারা বেগম) বাসায় যান এবং তিন হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন। তিন হাজার টাকা কেন আনবেন, জানতে চাইলে সাহারাকে ইউএনওর গৃহকর্মী বলেন যে ছাগলটি পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করে জরিমানার দুই হাজার টাকা কেটে রাখা হয়েছে।