ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস-জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনে বন্য অসংখ্য প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত তিনটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। একটি হরিণের পেটে বাচ্চা ছিল।
বুধবার বিকালে সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে একটি মৃত হরিণ।
এর আগে বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে কোস্টগার্ড অফিসের সামনে ভেসে আসে একটি মৃত হরিণ।
বন বিভাগের ধারণা, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে জোয়ারের পানিতে ডুবেই হরিণগুলো মারা গেছে। পরে জোয়ারের পানিতে ভেসে এগুলো আসে।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য মতে,জোয়ারের পানিতে ডুবেই হরিনগুলোর মৃত্যু হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের ৭-৮ ফুট বেশি পানি হয়েছে। এই পানিতে বনের প্রায় সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এসিএফ জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী সুন্দরবনের দুবলা, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, টিয়ারচর, শ্যালার চর, কটকা, কচিখালী, সুপতিসহ এলাকার বনভূমি প্লাবিত হয়। ৫-৭ ফুট উচ্চতায় পানির ঢেউ বনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।