নাম জানতে চাইলেই তেতে উঠছেন এক তরুণী। কোথা থেকে এসেছেন ও বাড়ি কোথায় বলতেই উত্তর দিচ্ছেন— রাস্তা তার ঠিকানা।
পরিবার সম্পর্কে জানতে কিছু জিজ্ঞাস করলে বলছেন— যে পরিবার মানুষকে আলাদা করে দেয়, একাকিত্ব শেখায়, নারীর স্বাধীনতা থাকে না- কীসের সে পরিবার? যে সমাজে নারী ধর্ষণ করার প্রবণতা বিদ্যমান, সে সমাজের দরকার কি? ভেঙে ফেল সে সমাজ।
বুধবার ভোরে মধুপুর পৌর শহরে জব্বারের চায়ের দোকানে বসে অচেনা তরুণী এমন বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন অনবরত। তবে তিনি নিজের নাম জান্নাত ও বাবার নাম শাহ আলম ছাড়া আর কোনো তথ্যই জানাননি।
টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌর শহরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে সেগুনবাগান বাজারে সন্ধান মিলেছে ওই তরুণীর।
চা দোকানি জব্বার জানালেন, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই এলাকায় তাকে দেখা যায়। স্থানীয়রা তাকে নিজেদের জিম্মায় রেখে নানাভাবে তার সম্পর্কে তথ্য জানতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তার নাম জান্নাত, বাবা শাহ আলম ছাড়া আর কোনো তথ্যই বের করা যায়নি তরুণীটির কাছ থেকে।
অনেকে বলছেন, উচ্চশিক্ষিত এ নারী প্রতিবাদের প্রতীক। তার আচার-আচরণে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন— ২০১৪ সালে শাহবাগে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেখানে প্রতিবাদী যেসব নারী দেখা গেছে; তিনি তাদের কেউ নয়তো? নানা জটিলতায় হয়তো তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। পরিবারের ঠিকানায় তাকে পাঠানো দরকার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি দিয়ে পরিবারের লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কথাও জানিয়েছেন অনেকে।
তবে আলোচিত তরুণীকে নিয়ে চা দোকানি জব্বারসহ সংশ্লিষ্টরা বিব্রত।
জানা গেল, সকালে পুলিশকে জানানো হয়েছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত পুলিশ সেখানে যায়নি।
মধুপুর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, কেউ তাদের জানাননি। তবে মানসিক ভারসাম্যহীন লোক নিয়ে আইনিভাবে পুলিশের বিশেষ ভূমিকা তেমন নেই।
তিনি বলেন, কেউ না জানালে তো কিছু করতে পারি না। তবু দেখি কি করা যায়।