যুক্তরাজ্যে নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক সাত দিনের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করলেও বাংলাদেশ সে নীতি অনুসরণ করছে না। বৃহস্পতিবার সকালেও ব্রিটেন ফেরত ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর তাদের সবাইকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়ে নিজ নিজ বাসাবাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক মো. হাফিজ আহমদ জাগো নিউজকে জানান, নতুন করে কোনো নির্দেশনা না থাকায় যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে নামা ১৬৫ জন যাত্রীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, যুক্তরাজ্য থেকে সরাসরি ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ২০২ ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ৭ মিনিটে অবতরণ করে। তাদের সবাই যুক্তরাজ্য থেকে করোনামুক্ত সনদ নিয়ে এসেছেন এবং এখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায়ও তাদের করোনার লক্ষণ না থাকায় তাদের হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
কারো শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে নেয়ার দরকার পড়েনি বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস পাওয়ার কথা জানান। এরপর থেকে সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অবশ্য নতুন ভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত না হয়ে বিশ্ববাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনাভাইরাস ৭০ ভাগ দ্রুত গতিতে বিস্তার ঘটাচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ভাইরাসটির ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন কাজ করবে কিনা তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
তবে বাজারে থাকা শীর্ষস্থানীয় টিকা প্রস্তুতকারকরা বলেছেন, করোনার নতুন ধরনের ওপরও তাদের টিকা কার্যকর হবে। ভাইরাসটির নতুন বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রাথমিক একটি বিশ্লেষণ প্রকাশিত হয়েছে এবং এতে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।