কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না এই মহামারি। বাংলাদেশে গত কয়েকদিনে করোনায় মৃত্যুর গ্রাফ নিম্নগামী থাকার পর আবারও বেড়েছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মঙ্গলবারের চেয়ে ৭ জন বেশি।
করোনার আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বুধবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত একদিনে দেশে নতুন করে ১৬০৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৭৩৭ জনে।
নতুন ৩৭ জন নিয়ে দেশে করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৪৮ জনে। করোনায় প্রাণহানি গত কয়েকদিনে তুলনামূলক কম ছিল। আবারও সেটি বেড়েছে। মঙ্গলবার ৩০ জনের মৃত্যু খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগের দিন ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আজকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ১৬ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৫, খুলনায় ২, সিলেটে ২, রংপুরে ১ এবং ময়মনসিংহে ১ জন মারা গেছেন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী। এদের ১ জন বাদে বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১২ হাজার ২১১ জনের মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৮৫৮ জন এবং নারী ৩ হাজার ৩৯০ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৪ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২ জন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৩ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের ১ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯২৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ জন।
২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৪৯৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৫২৮টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪৪৬টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষ দিকে দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়। এতে সংক্রমণ বেড়ে যায়। করোনা থেকে বাঁচতে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে।