করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কার্ডিয়াক/করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (০৩ মে) দুপুর ২টায় তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় বলে তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন।
তারা জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে নেয়া হয়েছে। তবে ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন তারা।
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানান সোমবার পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলবে।
সব পরীক্ষা শেষ হতে আগামী সোমবার পর্যন্ত লাগতে পারে। সব পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট পর্যালোচনার পর তাকে বাসায় নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান ডা. জাহিদ।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর ইতোমধ্যে সিটি স্ক্যান (চেস্ট), ইসিজি ও ইকোসহ যেসব পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে বড় কোনো জটিলতা পাওয়া যায়নি। তিনি হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত আর্থাটাইটিজ, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। গত মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকী বলেছিলেন, আমরা উনার অন্যান্য যেসব পরীক্ষা গত এক বছর করতে পারিনি সেগুলো করাব। সেজন্য পরীক্ষাগুলো সারতে আমরা উনাকে কেবিনে ভর্তি করিয়েছি।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় চিকিৎসক টিম গঠন করে অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়।
করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন পার হওয়ার পর আবারও খালেদা জিয়ার নমুনা পরীক্ষা করা হয়; কিন্তু ফল করোনা পজিটিভ আসে।