গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আবারও ‘কাঁকড়া’ নামে পরিচিত ঘাতক ট্রাক্টর প্রাণ নিল হেলপার শিশু লিটন মিয়ার (১১)। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের পশ্চিম বেলকা গ্রামের বটতলী দাখিল মাদরাসার সামনে। লিটন ওই গ্রামের কৃষক জাহেদুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। এই নিয়ে উপজেলায় ঘাতক কাঁকড়ার চাপায় নিহতের সংখ্যা দাড়াল ৭ জন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে চালক ছবিয়াল মিয়া বেলকা খেয়াঘাট থেকে কাকঁড়ায় বালু নিয়ে বটতলী মাদরাসার সামনে যায়। সেখানে বালু ঢেলে দিয়ে ফিরে আসার সময় কাঁকড়া গর্তে পড়ে উল্টে গেলে চাকার নিচে চাপা পড়ে হেলপার শিশু লিটন ঘটনাস্থলে মারা য়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, এর আগে গত ৪ জানুয়ারি স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী কাঁকড়ার গতি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রাপ্ত বয়স্ক চালক ও হেলপার ছাড়া কাঁকড়া চালানো সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে ডিও লেটার দেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা হলেও আজ তার কোনো প্রতিকার হয়নি। এদিকে অবৈধ কাঁকড়ায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকের বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে দিনের পর দিন মৃত্যুর সংখ্য বেড়েই চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, কথিত উন্নয়ন সামগ্রী পরিবহনের কথা বলে প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে জমিচাষের এই বাহনটিকে পথে নামানো হয়। অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া গতির কারণে শুধু মৃত্যুই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ পথ ঘাট।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ জানান, বালু ঢেলে দিয়ে ফিরে আসার সময় ঘটনাস্থলে গাড়ি উল্টে গিয়ে হেলপার লিটনের মৃত্যু হয়।
থানার পুলিশ পরিদর্শক বুলবুল ইসলাম জানান, কাঁকড়ার চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত লিটনের সুরুতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। এ নিয়ে এখনও থানায় মামলা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, দিনের বেলায় কাঁকড়া চালানো নিষেধ। তারপরও আদেশ অমান্য করে গাড়ি চালানো হচ্ছে।