যুক্তরাষ্ট্র। সবার কাছে এক ধরনের স্বপ্ন। আর বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী সে দেশে যাওয়ার জন্য ঝুঁকছে। তাদের জন্য সুখবর নিয়ে হাজির দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বিদেশি শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য বাইডেন প্রশাসনের কাছে বেশ কিছু সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা যায়।
গেলো চার বছরে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুগে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আমেরিকা যেনো একটা সোনার হরিণ হয়ে ওঠে। নানা বিধিনিষেধ আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে বাইরের শিক্ষার্থীরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। ফলে আমেরিকার কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে চাপ পড়ে। মার্কিন অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও টানা লকডাউনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শিক্ষার্থীরাই বিপাকে আছেন। স্কুল গ্র্যাজুয়েশনের পর কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি নিয়ে নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শিক্ষাবর্ষগুলো। এর মধ্যে উচ্চশিক্ষার্থে প্রতিবছর আমেরিকায় আসা শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর গড়ে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী বাইরের দেশ থেকে আসে। এতে আমেরিকার অর্থনীতিতে প্রায় ৪১ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়। সাড়ে ৪ লাখের বেশি কর্মসংস্থানে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অবদান রেখে থাকেন।
২০০৬ থেকে ২০১৬ সালে আমেরিকায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আগমন ৮০ শতাংশ বেড়েছিল। ২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
সংবাদমাধ্যম দ্য হিলে লেখা এক নিবন্ধে অধ্যাপক স্টিফেন বলেছেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আসা ব্যাপকভাবে কমে যায়। ফলে আমেরিকার অর্থনীতিকে ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ও ৬৫ হাজার কর্মসংস্থানের মাশুল দিতে হয়।