কলকাতাকে বলা হয় ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। এটি দেশটির সবচেয়ে বড় শহর। তাই তো বাংলাদেশি পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের এ শহর। বাংলাদেশিরা বেশ কয়েকটি কারণে কলকাতা ভ্রমণ করেন। তারমধ্যে চিকিৎসা, ব্যবসা ও কেনাকাটা অন্যতম। তবে মাত্র ৩ দিনের ছুটিতে ঘুরে আসা যায় শহরটি। সড়ক, রেল ও আকাশ পথে কলকাতায় যাওয়া যায়।
কলকাতা গেলে বেশ কিছু স্থান দেখার মতো রয়েছে। এরমধ্যে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, হাওড়া ব্রিজ, সায়েন্স সিটি ও একুশে উদ্যান উল্লেখযোগ্য। আসুন জেনে নেই স্থানগুলো সম্পর্কে-
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল: এখানে ঘাট বাঁধানো পুকুর, সারি সারি গাছ, সবুজ মাঠের মাঝে বড় অট্টালিকা রয়েছে। মোঘল ও ব্রিটিশ স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন এটি। প্রাসাদের মত বিশাল অট্টালিকায় আছে ২৫টি গ্যালারি। যেখানে বিভিন্ন অ্যান্টিক নিদর্শন এবং হাতে নির্মিত শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে।
একুশে উদ্যান: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে যাওয়ার পথেই একুশে উদ্যান। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’- অমর এ গানের থিমে উদ্যানটি তৈরি করা হয়েছে। শহরের বিড়লা প্লানেটোরিয়ামের পাশেই এটি অবস্থিত। যে উদ্যানে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জড়িয়ে আছে।
ঠাকুরবাড়ি: কলকাতার জোড়াসাঁকোয় অবস্থিত ঠাকুর পরিবারের প্রাচীন বাড়ি এটি। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দাদা বাড়িটি নির্মাণ করেন। স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটি এখন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এ বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। বাড়ির একাংশে রয়েছে জাদুঘর। যেখানে ঠাকুর পরিবারের নানা ঐতিহ্য প্রদর্শনের জন্য রাখা রয়েছে।
হাওড়া ব্রিজ: বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম ক্যান্টিলিভার ব্রিজ এটি। ব্রিটিশ শাসনামলে হুগলি নদীর উপর এ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। যা কলকাতা ও হাওড়া শহরের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে। ব্রিজের পাশের লঞ্চঘাট থেকে নৌকায় ঘুরতে পারবেন নদীতে। উপভোগ করতে পারবেন ব্রিজের সৌন্দর্য।
সায়েন্স সিটি: একনজরে বিজ্ঞানের নানা দিক দেখে আসতে পারবেন সায়েন্স সিটি থেকে। এখানে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে বর্তমান যুগের নানা জীব-জন্তুর মূর্তি পাবেন। যা জীবন্ত প্রাণির মতো নড়াচড়া এবং শব্দ করে। পাবেন বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ। ক্যাবল কার দিয়ে পুরো সায়েন্স সিটিও দেখতে পারবেন।