নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চেয়ে প্রতিপক্ষের ২৮ ব্যক্তি থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) আবেদন করেছেন।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় আবেদনের তথ্যটি নিশ্চিত করলেও এগুলো এখনো নথিভুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে তার প্রতিপক্ষ ২৮ ব্যক্তি নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার আবেদন করেছেন। একই বিষয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ছাড়া গণহারে জিডির সুযোগ নাই। আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশ ও দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, তার স্ত্রী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুসহ ২৮ জন কাদের মির্জার বিরুদ্ধে জিডির আবেদন করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত বলেন, কাদের মির্জা ‘হত্যার বদলে হত্যা করা হবে’ বলে হুমকি দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তার সন্ত্রাসীদের আক্রমণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী পঙ্গুত্ব বরণ করার পথে। তাই নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে জিডির আবেদন করেছি।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বলেন, কাদের মির্জা বলেছেন- রক্তের হোলিখেলা চলবে। ইতোমধ্যে একজন সাংবাদিকসহ আমাদের দুই কর্মীকে তার নির্দেশে হত্যা করা হয়েছে। তাই আমি নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরির আবেদন করেছি।
উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল বলেন, কাদের মির্জা ফেসবুক লাইভে আমার শিশু ছেলের নাম উল্লেখ করে বলেছেন, তার ছেলের ওপর যখন আক্রমণ হয়েছে তখন তিনি কারও ছেলেকে রেহাই দেবেন না। এতে আমি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে জিডির আবেদন করেছি।
এদিকে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন জানান, তিনিসহ ১৫ জন নিরাপত্তা চেয়ে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরির আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে এসে কাদের মির্জা তার আটককৃত অনুসারী মিকনকে ক্রসফায়ারে হত্যার আশঙ্কা করে বলেছেন, হত্যার বদলে হত্যা ও রক্তের হোলিখেলা চলবে এবং তার ছেলে তাশিক মির্জাকে আঘাত করার পরিণামে কারও ছেলে রেহাই পাবে না বলেও হুমকি দেন।