ঋতুপরিক্রমায় চলছে শীতকাল। পাতা ঝরার এই রুক্ষ সময়ে শরীরেও যেন ভর করে রাজ্যের আলস্য। তবে ব্যায়ামের মাধ্যমে সেই জড়তা ঝেরে ফেলা যায় সহজেই। বলতে গেলে শীতের মৌসুমেই ব্যায়াম বেশি আরামদায়ক হয়ে ওঠে। ঘাম না ঝরায় ক্লান্তিও আসে না সহজে।
কিছু নিয়ম মেনে ব্যায়াম করলে সুবিধা হবে। শীতের সকাল কিংবা সন্ধ্যায় ব্যায়ামের সময় ফুলহাতা জার্সি পরে নিন। সঙ্গে ঢিলেঢালা ট্রাউজার। পায়ে পরতে হবে ব্যায়ামের জন্য উপযুক্ত সি্নকার বা কেডস। ব্যায়ামের সময় সঙ্গে তোয়ালে রাখতে পারেন। বেশি ঘাম ঝরলে মুছে ফেলুন। ব্যায়াম করায় শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে পানি বেরিয়ে যায়। তাই ব্যায়ামের পর পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে।
প্রতিদিন সকাল কিংবা সন্ধ্যায় একটানা ২০ থেকে ৩০ মিনিট করে জোরে হাঁটুন, যেন ঘাম ঝরে শরীর থেকে। শরীর সুস্থ রাখতে আর মেদ ঝরাতে সাইক্লিং খুব ভালো ব্যায়াম। দড়ি লাফও (স্কিপিং রোপ বা জাম্প রোপ) করতে পারেন। তবে কারও হাঁটুতে বা অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। এ ছাড়া খালি হাতের (ফ্রি হ্যান্ড) কিছু আরও ব্যায়াম রয়েছে, যা আপনি নিজেই করতে পারবেন।
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত পাখির ডানার মতো ছড়িয়ে দিন দুই ধারে। এবার চর্কির মতো হাত দুটি ঘোরানো শুরু করুন সামনের দিকে। গুনে গুনে ১০ বার। তিনবারে ৩০ বার করুন। এবার একই নিয়মে হাত দুটি পেছনের দিকে ঘোরান।
দুই পা বেশ খানিকটা ফাঁকা করে দাঁড়ান। দুই হাত দুই পাশে ছড়িয়ে দিন। এবার ডান হাত দিয়ে বাঁ পায়ের পাতা এবং বাঁ হাত দিয়ে ডান পায়ের পাতা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। দ্রুত করতে হবে, কমপক্ষে ৫০ বার।
সোজা হয়ে দাঁড়ান, হাত দুটি মাথার ওপরে টান টান করে ধরে রাখুন। এবার সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে পায়ের পাতা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। ২৫ বার করুন টানা। শেষ হলে আরও ২৫ বার।
শক্ত বিছানায় সোজা হয়ে শুয়ে পড়ূন। দুই হাত মাথার ওপরে সোজা করে বিছানার সঙ্গে রাখুন। এবার কোমর এবং পা যথা সম্ভব না নাড়িয়ে আস্তে আস্তে দেহটা তুলে ফেলুন এবং হাত দিয়ে পা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। এভাবে ১৫ বার করে ৩০ বার করতে হবে।
শুয়ে থেকেই দুই হাত দিয়ে মাথার পেছনটা ধরে রাখুন এবং মাথাটা মেঝে থেকে খানিকটা ওপরে তুলুন। এবার দুই পা একসঙ্গে জোড়া লাগিয়ে আস্তে-ধীরে ওপরে তুলুন যতটা পারা যায়। এভাবে ১৫ বার করে মোট ৩০ বার করতে হবে।