নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের জেরে আর যাতে রক্তপাত-সংঘর্ষ না হয়, সেই লক্ষ্যে ফেসবুক লাইভে এসে কয়েকটি প্রস্তাব দিলেন বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। বুধবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে কাদের মির্জা এসব প্রস্তাব দেন।
আবদুল কাদের মির্জার প্রস্তাবগুলো হলো—নোয়াখালীর যেসব প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জ থেকে তাঁদের সরিয়ে অস্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিক মুজাক্কির ও সিএনজিচালক আলাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনের তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত বিচার শুরু করতে হবে এবং তাঁদের পরিবার যেন ন্যায়বিচার পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিকের ওপর হামলার ঘটনায় সরকার এবং প্রশাসনকে বিচারের উদ্যোগ নিতে হবে। গত তিন মাসের ঘটনায় করা মামলায় রাজনৈতিকভাবে অনেককে জড়ানো হয়েছে; সেই মামলাগুলো সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কাদের মির্জা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বিএনপি-জামায়াত এলাকাছাড়া হয়। আবার তারা ক্ষমতায় এলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এলাকাছাড়া ও হামলা-মামলার শিকার হন। এ সংস্কৃতি বন্ধ করে সহাবস্থানের রাজনীতি চালু করতে হবে।
কোম্পানীগঞ্জের আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান কাদের মির্জা। তিনি আরো বলেন, ‘আমি এরই মধ্যে দল থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। কোম্পানীগঞ্জে গত তিন মাসে যারা নেপথ্যে থেকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে। পৌরসভা নির্বাচন শেষে শপথ নিতে যাওয়ার পথে দাগনভূঞায় আমার ওপর হামলা হয়েছে। এই ঘটনার বিচার হতে হবে।’