হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক এবং তার ভাই মুহতামিম মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসার ৭০-৮০ জন ছাত্র মামলার বাদীর মোবাইল ও টাকাসহ কয়েকটি জিনিস চুরি করেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
আজ সোমবার মামুনুল হককে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজেদুল হক রিমান্ড আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন।
রিমান্ড আবেদনে তিনি বলেন, ২০২০ সালের ৬ মার্চ রাত আনুমানিক ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে সাত গম্বুজ মসজিদে আমল করতে গেলে মোহাম্মদপুর জামিয়া রহমানিয় আরাবিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ওমর ও ওসমান বাদীসহ অন্যদের আমল করতে নিষেধ করে। তারা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে এবং মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলে। এ সময় বাদীর সঙ্গে থাকা কয়েকজনকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে।
তিনি বলেন, বাদী তাদের রক্ষা করতে গেলে আসামি জহির তাকে মারধর করতে থাকে। এরপর আসামি মামুনুল হক ও তার ভাই মাহফুজুল হকের নির্দেশে ৭০/৮০ জন ছাত্র মাদরাসা থেকে বের হয়ে বাদীকে মারধর করে। আসামি ওমরের আঘাতে বাদীর বাম চোখে গুরুতর জখম হয়। আঘাতের কারণে বাদী মসজিদের ভিতরে শুয়ে পড়েন। এ সময় বাদীর একটি স্যামসাং এ-৫০ মোবাইল, নগদ সাত হাজার টাকা এবং ২২ ডলার ও ব্র্যাক বাংকের একটি ডেবিট কার্ডসহ বাদীর একটি মানিব্যাগ নিয়ে যায়। পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করলে বাদী ও তার সঙ্গীদের হত্যা করবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় তাকে সঙ্গীরা উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসা নেন।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টার কিছু পরে মামুনুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গতকাল রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামুনুলকে গ্রেপ্তারের পর ওইদিন দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ জানান, দেশে বিভিন্ন সময় মামুনুল উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরসহ নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে আরো মামলা হয়েছে।