নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া থানার ওসি জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রিয়া আক্তার নামের এক ভুক্তভোগী নারী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ রাতে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া তেলিগাতী বাজারের গো-হাটার পশ্চিমে নিজ জমিতে নির্মিত দু’টি দোকান ঘরের তালা ভাংচুরের পর দখলের চেষ্টা করে প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা। পরে ঘটনাটি থানা পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ এসে দোকান ঘরে তালা ঝুলিয়ে চাবি ভুক্তভোগীকে না দিয়ে তেলিগাতী বাজারের ইজারাদার আবুবকরের কাছে জমা রাখে। পরবর্তী সময়ে অভিযুক্ত মতিন মাষ্টার গংরা ইজারাদারের কাছ থেকে চাবি নিয়ে বেআইনিভাবে দোকানে প্রবেশ করে। পরে আটপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ভুক্তভোগীদের কোন অভিযোগ গ্রহণ করেননি। এ কারণে আইনের সুবিচার পাওয়ার জন্য আটপাড়া থানার ওসির বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগকারী রিয়া আক্তার জানান, ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে আমার বাবা আব্দুল কাদের একই এলাকার মৃত নবাব হোসেনের ছেলেদের কাছ থেকে পাঁচ শতাংশ ভূমি সাফ (কাউলা) দলিল করেন। এর পর থেকেই আমরা এই জায়গাতেই বসবাস করে আসছি।
এ বিষয়ে বিবাদী মতিন মাষ্টারের ভাই মিলন মিয়া বলেন, এই জায়গাটি ক্রয়সূত্রে আমরাই মালিক। আমি জমির কাগজপত্র সম্পর্কে এত কিছু বুঝি না। আমার ভাগ্নেকে পাওয়ার অব এটর্নি করে দিয়েছি জায়গাটি।
মতিন মাষ্টারের ভাগ্নে মো. ফজলুমিয়া জানান, আমার নানা ১৯৮২ সনে তাঁরা মিয়া ও হালান মিয়ার কাছ থেকে এই জমি নগদ মূল্যে ক্রয় করেন। ১৯৮৩ সালে আমার নানার নামে বি,আর এস হয়েছে। সেই সূত্রে এই সম্পত্তির ওয়ারিশান আমরা। নেত্রকোনা আদালতে মামলা করেছি। আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে আমরা মেনে নিব।
অভিযোগ বিষয়ে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঘর নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা আমি জানি। আমাকে রিয়ারা প্রায় সময় মোবাইল ফোনে অভিযোগ দিত। আমি পুলিশ পাঠিয়ে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কখনো থানায় এসে আমার কাছে কোন লিখিত অভিযোগ করেনি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর-রশিদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে।