হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও প্রতিদিন গড়ে ৯ কোটি লিটার পানি অপচয় হচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসায়। এ অপচয় হওয়া পানিকে সিস্টেম লস দেখিয়ে হিসাবভুক্ত করছে চট্টগ্রামে পানি ও পয়োব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। তবে ওয়াসা বলছে, আগের চেয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, পানি পরিশোধনের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসার রয়েছে তিনটি শোধনাগার। এই তিন প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৪৫ কোটি লিটার পানি পরিশোধন করা হয়। এরমধ্যে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প–১ থেকে ১৪ কোটি লিটার, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প–২ থেকে ২৪ কোটি লিটার, মদুনাঘাট পানি শোধনাগার প্রকল্প থেকে ৭ কোটি লিটার পানি সরবরাহ হয়। পাশাপাশি গ্রাউন্ড ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে ওয়াসা গভীর নলকূপ থেকেও দৈনিক ৫ থেকে ৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে চট্টগ্রাম ওয়াসা। তবে পানির চাহিদা কম হলে গভীর নলকূপ দিয়ে পানি উত্তোলন করা হয় না।
চট্টগ্রাম ওয়াসার গত জুন মাসের এমআইএস রিপোর্ট অনুযায়ী, সরবরাহ করা মোট পানির ২৫ থেকে ২৮ শতাংশ সিস্টেম লস হয়। সিস্টেস লস হওয়া পানিকে নন–রেভিনিউ ওয়াটার হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে ওয়াসা। এ হিসাবে দৈনিক নন–রেভিনিউ পানির পরিমাণ কমবেশি ৯ কোটি লিটার। এক বছর আগেও নন-রেভিনিউ পানির পরিমাণ ছিল ২৯ শতাংশ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. মাকসুদ আলম বলেন, নগরীর চান্দগাঁও ও আগ্রাবাদ এলাকায় ৩ হাজার স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ চলছে। নগরীতে এখনো প্রায় ৩শ কিলোমিটার পুরোনো পাইপলাইন রয়েছে। নতুন পাইপলাইন বসানোর জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকার এক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নতুন পাইপলাইন এবং স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শেষ হলে সিস্টেম লস একেবারেই সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।