নানা ঘটনা ও বীজ বিক্রি নিয়ে আলোচনায় ঝিনাইদহের সহিদ বীজ ভান্ডার। ২ মাস আগে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের ৯ জন কৃষকের কাছে সিলেক্ট স্বর্ণ জাতের ধানের বীজ বলে অন্য জাতের বীজ দেওয়ায় কৃষককের অভিযোগের ভিত্তিতে এক ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের শালিসে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। এই ঘটনার পরে অন্যায় বিচার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করে সহিদ বীজ ভান্ডার। সদর উপজেলার গয়েশপুর মাঝের পাড়া গ্রামের কৃষক শুকুর আলী জানান, ঝিনাইদহ শহরের সহিদ বীজ ভান্ডার থেকে সবজির বীজ কিনে মাথায় হাত। প্রথমে মুলার বীজ নিয়ে এসেছেন , আগাড়ী বীজ বোনার জন্য, কিন্তু সে বীজ বেরোয়নি। সে মুলা মোটা হচ্ছে না, পালন শাক না মুলা বুঝতে পারছে না। লাল জাতের বীজ কিনেছেন কিন্তু চাঁরা বেরিয়েছে সাদা। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সহিদ বীজ ভাণ্ডার থেকে চলতি মৌসুমে আগাম জাতের মুলার বীজ কিনে অনেকে ঠকেছেন। এই বিষয়ে সহিদ বীজ ভাণ্ডারের মালিক সহিদুল ইসলাম জানান, এই শুকুর আলী তার কাছ থেকে বীজ কেনেনি। সহিদ বীজ ভাণ্ডারে যেয়ে দেখা যায় ভারতীয় কোম্পানির লেবেল লাগানো পেয়াজের বীজ নতুন করে সহিদ বীজ ভান্ডারের লেবেল করা প্যাকেটে ভরছে। এই বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই ভাবেই সবাই ভারত থেকে বীজ নিয়ে এসে নিজেরা নতুন করে প্যাকেটে করে বিক্রি করে। কিন্তু সহিদ বীজ ভাণ্ডারের কোন ল্যাব নেই। কিন্তু বীজ আমদানির লাইসেন্স আছে। এই ঝিনাইদহ জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার ইসমাইল হোসেন জানান, সহিদ বীজ ভান্ডার তাদের অনুমোদিত ডিলার নয়।তিনি ভারত থেকে বীজ নিয়ে এসে অনুমোদন ব্যাতিরেখে নিজের লেবেলে বীজ বাজারজাত করতে পারেন না। তিনি লোক পাঠাচ্ছেন বলে জানান। এদিকে এই বিষয়ে খোঁজ নিতে ঝিনাইদহ বীজ প্রত্যয়ন অফিসে যেয়ে অফিসটি বন্ধ পাওয়া যায়। বীজ প্রত্যয়ন অফিসার ইসমাইল হোসেন ছাঁড়াও আরও ২ জন কর্মচারী আছেন। অফিসার ইসমাইল হোসেন যশোর অফিসে বসেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে তিনি ঝিনাইদহে বসেন। অফিস বন্ধ পেলে অফিসার ইসমাইল হোসেনকে ফোন দিলে তিনি বলেন আজকে ছুঁটিতে আছেন। কিন্তু অন্য কর্মাচারীদের কেও অফিসে পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম শাহীন বলেন, আমিও খোঁজ করে তাদের পায় না। কখন অফিসে বসে কখন বসে না আমি জানিনা। ঝিনাইদহ বিএডিসির বীজ বিপণন অফিসার সুমি বাড়ই বলেন, বিএডিসির বীজ নিয়ে যদি কোন প্রতারণা করেন তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু উনি সম্ভবত বিএডিসির কোন ডিলার নন। এদিকে কৃষক শুকুর আলীর ১০ কাঠা জমিতে মুলার আবাদ হয়নি বীজের জন্য। এই গ্রামের কৃষক সিরাজ মুন্সি ও কদম আলীও মুলার বীজ কিনে ঠকেছেন। হরিণাকুণ্ডুর হাকিম পুর গ্রামের আরেক কৃষকের কপির বীজ কিনে ২ বিঘা জমিতে কোন আবাদ ঘরে তুলতে পারেননি। প্রতিদিনই কোন না কোন গ্রাম থেকে সহীদ বীজ ভাণ্ডার থেকে বীজ কিনে সমস্যার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।