ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন লোকজন। সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিভিন্ন বাস টার্মিনালসহ উপজেলার বিভিন্ন বাসটার্মিনালে ঢাকাগামী যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। যার অধিকাংশই গার্মেন্টকর্মী।
প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন তারা। দূরপাল্লার বাসও চলাচল করছে মহাসড়কটিতে।
সরেজমিন দুপুরে ভূঞাপুর বাসটার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের ব্যাপক ভিড়। অধিকাংশই গার্মেন্টকর্মী। ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা। যানবাহন না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। বাস, সিএনজি ও ট্রাকযোগে যেতে চাইলেও গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া।
বাসে চন্দ্রা পর্যন্ত যেতে জনপ্রতি ৩০০, সিএনজিতে ৪০০ ও ট্রাকে ১৫০ টাকা ভাড়া গুণতে হচ্ছে। চন্দ্রা পর্যন্ত অরিজিনাল বাস ভাড়া ১২০ টাকা বলে জানান চালকরা। এরপরও গন্তব্যে পৌঁছার আগেই নামিয়ে দেয়া হচ্ছে যাত্রীদের। কারণ জানতে চাইলে- এর বেশি আর যাওয়া যাবে না। একদিকে ভাড়া বেশি, আবার হেঁটে যেতে হচ্ছে বাকি পথ। সবকিছু মিলিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ফেরত যাত্রীরা।
এদিকে কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। কারো মুখে নেই মাস্ক। এতে বেড়ে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
ঢাকাগামী আলমগীর নামে এক যাত্রী বলেন, বাস-ট্রাকে দ্বিগুণ ভাড়া নিলেও যাত্রীর কোনো কমতি নেই। ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী নিচ্ছেন চালকরা। তবে পুলিশ সেগুলো দেখলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। পুলিশ এসে চাঁদা নিয়ে চলে যাচ্ছে।
লিটন নামে আরেক যাত্রী জানান, ছুটি শেষ। অফিসে যেতে হবে। নয়তো চাকরি থাকবে না। ভাড়া বেশি ও কষ্ট হলেও যে কোনো উপায়ে যেতে হচ্ছে। কিছুই করার নেই।
চালকরা জানান, যাত্রী নিয়ে গেলেও ফেরার সময় খালি ফিরতে হয়। স্টাফদের বেতন ও তেল খরচ তো তুলতে হবে; তাই ভাড়া কিছুটা বেশি নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি আব্দুল ওহাব বলেন, পুলিশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় টহল দিচ্ছে। এ রকম কিছু হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান বলেন, তিনি বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।