স্থানীয়রা জানায়, মামুন হোসেন ও একই গ্রামের মৃত খোদা বক্সের ছেলে খোকন হোসেন পাশাপাশি গরুর মাংস বিক্রি করছিলেন।
মামুন প্রতিকেজি ৬৫০ টাকা দরে আর খোকন হোসেন প্রতিকেজি ৭০০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করেন। কম দামে মাংস বিক্রি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে খোকনের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে মামুনকে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মামুন হোসেন।
এ বিষয়ে খোকনের সহযোগী আবদুস সালাম ও রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামুন ও খোকন পরস্পর মামাত ফুফাত ভাই। এক সাথে তারা মাংসের ব্যবসা করতেন। কিছুদিন আগে থেকে তারা ব্যবসা আলাদা করেছেন। শনিবার তারা দুইজন পাশাপাশি মাংস বিক্রি করছিল।
খোকন ৭০০ টাকা এবং মামুন ৬৫০ টাকা প্রতিকেজি হিসেবে মাংস বিক্রি করছিল। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে শতশত মানুষের মাঝে “প্রকাশ্যে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে মামুনকে হত্যা করে।”
নিহত মামুনের ছোট ভাই মানিক হোসেন বলেন, ‘তারা ব্যবসা আলদা করার পর থেকে খোকন বিভিন্ন সময়ে মামুনকে হুমকি দিয়ে আসছিল। আমাকে বিষয়টি কয়েকদিন আগে জানিয়েছে। যেহেতু আমরা পরস্পর মামাত ফুফাত ভাই এ নিয়ে উভয়কে দ্বন্দ্ব না করার জন্য নিষেধ করেছিলাম। তারপরও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে খোকন।”
এ বিষয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, “ঘটনা জানার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।” এ ব্যাপারে একটি হত্যার ঘটনায় থানা মামলা হয়েছে। বর্তমানে খোকন পলাতক রয়েছে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’