বিজয়ের ৫০ বছরে এসে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বিগুণের বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে রিজার্ভ বেড়েছে এক হাজার কোটি ডলারের বেশি। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ যখন অবস্থান করছিল চার হাজার ২০৯ কোটি ডলারে, তখন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত মাত্র দু’ হাজার ৪০ কোটি ডলার।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত চার হাজার দু’শ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। আর ব্যাংকাররা বলছেন, নগদ প্রণোদনায় বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হয়েছেন প্রবাসীরা। পাশাপাশি আমদানিতে ধীরগতি ও বিদেশি ঋণ বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে বলেও মত তাদের।
পরিসংখ্যান বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি কাজ করেন। তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতিতে শক্তি জুগিয়ে যাচ্ছে। গত অর্থবছরেই প্রথম এসব প্রবাসীর পাঠানো অর্থের বিপরীতে নগদ দু’শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হয় বাজেটে। তারপর থেকেই বৈধ পথে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পায়।
সেই সুফল এখন দেশবাসী পাচ্ছে বলে জানান অগ্রণী ব্যাংকের এমডি শামস-উল-ইসলাম। বলেন, সরকার দুই শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছে এবং অগ্রণী ব্যাংক আরও এক শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় মোট তিন শতাংশ লাভ পেয়েছে প্রবাসীরা। এতে বৈধ পথে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন তারা।