তাদের একটাই দাবী আমাদের চাকরী চাই। দোষীদের শাস্তি চাই, সমস্ত যারা টাকার বিনিময় চাকরী পেয়েছে তাহাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে। এবং সেই সকল জায়গায় যোগ্য প্রার্থীদের চাকরী দিতে হবে। সমস্ত জায়গায় স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করতে হবে।
আজকের এই অভিনব বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে জানান।এখনো মুখ্যমন্ত্রী কোন রকম সহানুভূতি নেই। আজকের এই বিক্ষোভ বাংলার লজ্জা, বিহারে সমস্ত জায়গায় চাকরী হচ্ছে।,সেখানে পশ্চিমবঙ্গে কেন চাকরী হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে, আজকের বিক্ষোভের পর, মুখ্যমন্ত্রী কেন রকম চাকুরীর ব্যবস্থা না কেন? আমরা আরো বৃহত্তর আন্দোলন করবো এবং বিক্ষোভ দেখাবো।
মুখ্যমন্ত্রী নিজের মুখে বলেছিলেন। যে আমাদের চাকরি ধাপে ধাপে দেওয়া হবে। আজও একজনও চাকরী পায় না। আর কত ভাওতা দেবেন? আমরা ভাওতাই পা দেব না। হয় চাকরী নয় বিক্ষোভ, উনি আমাদের উপর কি অত্যাচার করেন। কি করতে পারেন? তাতে পারেন প্রশাসন দিয়ে আমাদেরকে জেলে ভরতে, পারেন তিনি। আমরা রক্ত দিয়ে লিখে এবং বেল্টের আঘাতে আমরা এই দুর্দশা চিহ্ন এঁকে দিলাম। আজকের এই বিক্ষোভে মধ্য দিয়ে সবার চোখে অশ্রু নেমে আসে।
এদিকে দুপুর তিনটে নাগাদ মাননীয় কমরেড মোঃ সেলিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে বলেন। মে দেশে চোরেদের চাকরী, সে দেশে লড়াই করে চাকরী ছিনিয়ে নিতে হবে।
এদেশের সোজা হাতে চাকরি পাওয়া যাবে না। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য গোটা দেশটাকে দুর্নীতিতে ভরে। ই ডি, সি বি আই দিয়ে কিছু হবে না। সেখানে মোদী এখানে দিদি, তার মাঝে ভাইপো,সোজা হাতে কিছু হবে না। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ,আইনের মধ্য দিয়ে, ছিনিয়ে নিতে হবে। আর শত্রুদের বিনাশ করতে হবে। একে একে জেলে যাচ্ছে তাতেও লজ্জা হয় না। উপযুক্ত ছেলে মেয়েদের পথে বসিয়ে রেখেছে।
তোমরা কেউ এ লড়াই থামাবে না। আমরা আছি তোমাদের পাশে। জয় তোমাদের হবেই, একদিন ঠিক সঠিক বিচার পাবে।
আজ শুধু চাকরী প্রার্থীরাই নয় , করো বাবা-মা এবং কারো ছোটো ছোটো সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন সারাক্ষণ এই বিক্ষোভ মঞ্চে ।