রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলো আগামী ১ মার্চের আগে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। হল খোলা না হলে ১ মার্চ যে কোনো মূল্যে আবাসিক হলে ঢুকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সোমবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকেই এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ইউজিসির একটি সভা আছে। সেখানে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। এর মধ্যে ইউজিসি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে যদি কোনো যৌক্তিক সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হবে এবং ১ মার্চ আমরা যার যার হলে প্রবেশ করব। যদি হলে প্রবেশের সুযোগ না দেওয়া হয় তাহলে হলের বাইরে অবস্থান করবেন বলেও ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ ভ্যাকসিন মজুদ আছে এবং দরকার হলে চলতি মাসের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে শিক্ষার্থীরা সমবেত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান সেখানে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের কাছে তাদের দাবি উপস্থাপন করলে অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছে। দুই-এক দিনের মধ্যে উপাচার্য ডিনদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বাত্মক চেষ্টা করছে দ্রুত ক্যাম্পাস খোলার জন্য। সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহলের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বারবার কথা বলছেন। আমরা প্রত্যাশা করছি খুব দ্রুতই সুরক্ষা নিশ্চিতের মাধ্যমে হল খুলে দেওয়া হবে। তবে কবেনাগাদ আবাসিক হলগুলো খোলা হবে সে বিষয়টি জানাননি তিনি।
এর আগে গত রোববার হল এবং ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ও উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়।