1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন

​হরিরামপুরে পদ্মার পানি বৃদ্ধি : শুরু হয়েছে ভাঙন

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • রবিবার, ৩০ মে, ২০২১

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে শুরু হয়েছে নদীভাঙন। গত কয়েকদিনে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর গ্রামের অন্ততঃ আটটি পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ভয়ে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ছেন আরও অনেকে। বসতভিটা হারিয়ে এসব পরিবার গুলো এখন অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীভাঙনে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের মোট ১৩টি মৌজার মধ্যে ১২টি মৌজাই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হচ্ছে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি। গত ২০ বছরে ভাঙনের কবলে পড়ে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার। প্রতিবছর আরও কিছুদিন পরে ভাঙন শুরু হলেও ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর কারণে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় আকস্মিক এ ভাঙনে বিপদগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন গ্রামের লোকজন।

শনিবার(২৯) সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকটি পরিবার তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন, কেটে নিচ্ছেন জমির গাছপালা। এদের কেউ কেউ একাধিকবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, অন্য কোথাও জায়গাজমি না থাকায় আপাতত অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন তারা। তারা বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে ভাঙন আরও বাড়বে। তাই সরকারের কাছে নদীভাঙন রোধের স্থায়ী একটা ব্যবস্থা চান তারা।

কুশিয়ারচর গ্রামের নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বারেক গাজীর স্ত্রী বলেন, ”পদ্মা ভাঙনের কবল থেকে বাঁচতে চাই। অন্যের জায়গায় ঘর উঠাইছি। পদ্মায় পানি বাড়তেছে। নিজেরা খামু কি! জায়গা কিনুম কেমনে! আমাগো সরকার একটা ব্যবস্থা করে দিক।”

রহমানের স্ত্রী বলেন, ”আগেও নদীতে বাড়ি ভাঙ্গছে। আবারো গাঙে পানি বাড়লে বাড়ি ভাইঙ্গা গেলো। এহোন কনে থাকুম। ২ দিন ওইলো অন্যের জায়গায় ঘর তুলছি। এ ঘরও ভাইঙ্গা যাইবার পারে। সরকার যেন ভাঙ্গন বন্ধ করার জন্য বাঁধ দেয়।”

একই এলাকার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত আরোজ প্রামাণিকের স্ত্রী বলেন, “পূর্বে বাগমারা এলাকায় বাড়ি ছিলো। পদ্মার ভাঙ্গনের পর কুশিয়ারচরে বাড়ি করি। সে বাড়িও ভেঙ্গে যাচ্ছে। এখন আমরা কোথায় থাকবো। তিনটি ঘর ভেঙ্গে অন্যের জায়গায় তুলেছি, সেখানে কতদিন থাকবো জানিনা’।

ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ গায়েন জানান, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙনরোধে কাজ শুরু না হলে আরো অনেক বাড়িঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে। ২০ বছরে ভাঙনের কবলে পড়েছে ৫ শতাধিক পরিবার। অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছে। কেউ কেউ সরকারি রাস্তার পাশে থাকছে। কেউ আবার অন্যের বাড়িতে থাকছে।

কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনুস উদ্দিন গাজী বলেন, আমার ইউনিয়নের ১৩টি মৌজার ১২টিই নদীগর্ভে। অবশিষ্ট যেটুকু আছে তাও নদীভাঙনের কারণে হুমকির মুখে। ভাঙনরোধে এখন জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণসহ স্থায়ী একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। চেয়ারম্যান সাহেবকে বলা হয়েছে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে বিষয়ে রিপোর্ট দিতে। আর যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকেও আবেদন করতে বলা হয়েছে।

মুঠোফোনে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, “ঘূর্ণিঝড় ইয়াস গেলো, তার জন্য উপকূলে কাজ হচ্ছে। এখনো আমাদের বন্যা সংক্রান্ত কাজ শুরু হয়নি। আমরা কিছুদিন পরে কাজ শুরু করবো।”

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব