২০২৫ সালের জন্য হজের দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। একটি প্যাকেজে খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা এবং অন্যটিতে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০টাকা।
আজ (বুধবার) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলামসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এর আগে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আগামী বছরের হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ধর্মসচিব মু. আবদুল হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলামসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এর আগে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির বৈঠকে আগামী বছরের হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেওয়া হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, হজের দুটি প্যাকেজের একটি পবিত্র কাবা শরিফ থেকে এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে যারা থাকবেন তাদের জন্য প্যাকেজ-২, আরেকটি কাবা শরিফের তিন কিলোমিটারের মধ্যে যারা থাকবেন তাদের জন্য প্যাকেজ-১। দুটি প্যাকেজেই গত বছরের চেয়ে খরচ কমেছে।
গত বছর সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৭ টাকা খরচ হয়েছিল। বিশেষ হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। এবার বিশেষ প্যাকেজ থাকছে না।
তিনি বলেন, সাধারণ হজ প্যাকেজ ১ এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। সাধারণ হজ প্যাকেজ ২ এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। গতবারের তুলনায় ১ লাখ ৯ হাজার ১৪৫ টাকা কমে সরকারিভাবে সাধারণ হজ প্যাকেজের ১ এর মূল্য ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্যাকেজ-১ যা যা থাকছে
এ প্যাকেজে যারা যাবেন তাদেরকে মক্কায় হারাম শরীফের বহিচত্বর হতে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। হারাম শরীফ যাতায়াতে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। একইভাবে মদিনায় মসজিদে নববী হতে সর্বোচ্চ দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
মিনায় গ্রিন জোনে (জোন-৫) তাঁবুর অবস্থান এবং মিনা-আরাফায় ‘ডি’ ক্যাটাগরির সার্ভিস সুবিধা দেওয়া হবে। মক্কার হোটেল/বাড়ি হতে বাসযোগে মিনার তাঁবুতে এবং মিনা-আরাফাহ-মুযদালিফা-মিনা ট্রেনযোগে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে। মিনা এবং আরাফায় মোয়াল্লেম কর্তৃক খাবার পরিবেশন করা হবে।
সংযুক্ত বাথ মক্কা ও মদিনায় বাড়ি/হোটেলের প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ জনের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। বাড়ি/হোটেল কক্ষে/ফ্লোরে রেফ্রিজারেটর এর ব্যবস্থা করা হবে। মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান, প্রতি ৪৬ জন হজযাত্রীর জন্য ১ জন হজ গাইড এবং প্রত্যেক হজযাত্রীকে খাবার বাবদ ন্যূনতম ৪০ হাজার টাকার সমপরিমাণ সৌদি রিয়াল এবং কোরবানি বাবদ ৭৫০ সৌদি. রিয়াল আবশ্যিকভাবে সঙ্গে নিতে হবে।
প্যাকেজ-২ যা যা থাকছে
এ প্যাকেজে যারা যাবেন তাদেরকে মক্কায় হারাম শরীফের বহিচত্বর হতে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। হারাম শরীফ যাতায়াতে বাসের ব্যবস্থা থাকবে। একইভাবে মদিনায় মার্কাজিয়া (সেন্ট্রাল এরিয়া) এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
মিনায় ইয়োলো জোনে (জোন-২) তাঁবুর অবস্থান এবং মিনা-আরাফায় আপগ্রেডেড ‘ডি’ ক্যাটাগরির সার্ভিস সুবিধা, মক্কার হোটেল/বাড়ি হতে বাসযোগে মিনার তাঁবুতে এবং মিনা-আরাফাহ-মুযদালিফা-মিনা ট্রেনযোগে যাতায়াত, এ্যাটাচ বাথসহ মক্কা ও মদিনায় বাড়ি/হোটেলের প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ জনের আবাসন, বাড়ি/হোটেল কক্ষে/ফ্লোরে রেফ্রিজারেটর এর ব্যবস্থা, মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা এবং ৪৬ জন হজযাত্রীর জন্য ১ জন হজ গাইডের ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেক হজযাত্রীকে খাবার বাবদ ন্যূনতম ৪০ হাজার টাকার সমপরিমাণ সৌদি রিয়াল এবং দমে শোকর (কোরবানি) বাবদ ৭৫০ সৌদি রিয়াল আবশ্যিকভাবে সঙ্গে নিতে হবে।
বেসরকারি প্যাকেজ যা থাকবে
বেশিরভাগ হাজিরা সরকারি ব্যবস্থাপনা পবিত্র হজ পালন করেন। যেটাকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা হজ বলা হয়। বেসরকারি এজেন্সির প্যাকেজের বৈশিষ্ট্য কি হবে তা উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি এজেন্সিগুলো প্যাকেজ-১ হাজীদের জন্যমক্কায় হারাম শরীফের বহি:চত্বর হতে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন। হারাম শরীফ যাতায়াতে বাস ব্যবস্থা করতে হবে। একইভাবে মদিনায় মসজিদে নববী হতে সর্বোচ্চ দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন, এ্যাটাচ বাথসহ প্রতি রুমে সর্বোচ্চ ৬ জনের আবাসন ব্যবস্থা, মিনায় হজযাত্রীদের তাঁবু গ্রিন জোনে (জোন-৫) এবং ‘ডি’ ক্যাটাগরির সার্ভিস, মিনা এবং আরাফায় মোয়াল্লেম কর্তৃক খাবার পরিবেশন, মক্কা-মিনা-আরাফা-মুজদালিফা যাতায়াতের জন্য ট্রেন/বাস (প্রতি ১০০ জনে একটি বাস অথবা ৫০ জনের ডাবল ট্রিপ) ব্যবস্থা মক্কা, মদিনা ও জেদ্দায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ঔষধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা এবং ৪৬ জন হজযাত্রীর জন্য ১ জন হজ গাইড থাকবে থাকতে হবে।
আগামী বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে হজ ভিসা ইস্যু শুরু হবে। ২৯ এপ্রিল ২০২৫ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে।