টাঙ্গাইলের মধুপুরে স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক তরুণী।
শুক্রবার সকাল থেকে তিনি তার শ্বশুরবাড়িতে উঠে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে অবস্থান শুরু করেছেন। ঘটনাটি উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের মাইজবাড়ী গ্রামে। তরুণীর স্বামী মাহবুব রব্বানী রিপন ওই গ্রামের আবু সাইদের ছেলে। স্ত্রী চপলার অবস্থানের কথা শুনে রিপনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। ওই তরুণী একই উপজেলার অরণেখোলা ইউনিয়নের আমলীতলা গ্রামের জনৈক হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া তরুণী জানান, সম্পর্কে মামাতো ভাই রিপনের সঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে প্রেমের সম্পর্ক। সম্পর্কের টানা ১০ বছর পর গত ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট কোর্ট ম্যারেজে বিয়ে করেন তারা। একটা পর্যায় তৈরি করে তিন বছর পর অভিভাবকদের কাছে প্রকাশ করার শর্তে গোপন রাখা হয়েছিল তাদের বিয়ে। বায়িং হাউসে চাকরি করার সুবাদে তারা দুজনে ঢাকায় অবস্থান করতেন। চলমান করোনাভাইরাস মহামারির লকডাউনে চলতি বছরের শুরুতেই ওই তরুণী বাড়িতে অবস্থান করছেন।
বাড়িতে অবস্থানের শুরু থেকেই রিপন তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তার অভিযোগ, অভিভাবকদের কাছে তাদের বিয়ে গোপন রাখা ও তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় নানা শঙ্কায় পড়েন তিনি। ১০ লাখ টাকা যৌতুকও দাবি করছেন রিপন। স্বামীর রহস্যজনক এমন আচরণে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। দুই বছর পার না হতেই স্বামীর এমন আচরণে অবশেষে তিনি বৃহস্পতিবার মধুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মধুপুর থানার এসআই আবদুস সামাদ জানান, ওই তরুণী থানায় যৌতুক সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। শুক্রবার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাকে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকালে রিপনের বাড়িতে গিয়ে তরুণীর অবস্থান ও অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করলে তারা বিস্মিত হন। কিন্তু তরুণীকে বাধা না দিয়ে অবস্থানের সুযোগ দিয়েছেন তারা।
রিপনের বাবা আবু সাইদ জানান, তার ছেলে বুধবার থেকে বাড়িতে নেই। সঠিক তথ্যসাপেক্ষে সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে রিপনের মোবাইলে বারবার চেষ্টা করে অবশেষে অপরপ্রান্ত থেকে রিপনের ভাই পরিচয়ে শরীফ জানান, তরুণীর অবস্থান নেওয়ার খবর শুনেছেন। বাকি কোনো তথ্য তিনি জানেন না।
অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তরুণীর প্রতিবেশী বেলায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।