ওয়ার্ডেন মেম্বার প্রার্থী ছিলেন রবিউল ইসলাম রানা। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত চালিয়েছেন গণসংযোগ। ভোট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অনেকে। আত্মীয়-স্বজনরা অনেকেই সঙ্গে ছিলেন নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে।
৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিনও ছিলেন মাঠে। তবে ফল ঘোষণার পর ভেঙে যায় সব আশ্বাস-বিশ্বাস। নির্বাচনে ফল অনুযায়ী একটি ভোটও পাননি এই প্রার্থী।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ৭ নম্বর কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য হিসেবে নির্বাচন করেন রবিউল ইসলাম রানা। তার নির্বাচনী প্রতীক ছিল তালাচাবি। নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরো তিনজন।
অন্যের ভোট না পেলেও নিজের দেওয়া ভোটের ফলাফল না পাওয়ায় নির্বাচন অফিসে ঘোরাফেরা করছেন এই সদস্য প্রার্থী। নির্বাচন অফিসের দাবি, কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারই বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
সোমবার ফলাফল শিটে দেখা যায়, রবিউল ইসলাম রানা তালা প্রতীকে কোনো ভোট না পেলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভূপেন চন্দ্র মন্ডল টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮৯৩ ভোট। অন্য প্রার্থী আজিজুল হক মোরগ প্রতীকে পেয়েছেন ৬৮২ ভোট এবং ময়নুল ইসলাম আপেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৭৩৫টি।
নিজের হাতের আঙ্গুলে ভোট দেওয়ার চিহ্ন দেখিয়ে রবিউল ইসলাম রানা বলেন, ‘স্ত্রীসহ আত্মীয়-স্বজনের কথা বাদ দিলাম কিন্তু আমার নিজের দেওয়া ভোটটি কোথায় গেল?’
তবে ভোটের দিন শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগে আপেল প্রতীকে সিল মারা ১০০ পাতার একটি ব্যালট দেখতে পেয়ে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কাছ থেকে জাহাঙ্গীর আলম একজন ভোটার ছিনিয়ে নিয়ে বাহিরে এসে অন্যদের দেখালে ভোটকেন্দ্রে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ উদ্ধার হওয়া ব্যালটের ভোট বাতিলের ঘোষণা করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাচন অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলতে পারবেন। তবে তিনি চাইলে আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন। ‘
কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিকুর রেজা বলেন, ‘ভোট কেন্দ্রে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ফলাফল দিতে গিয়ে ভুলক্রমে তালাচাবি মার্কার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ফলাফল শিটে লিখতে ভুলে গেছি। ‘