এবাদত হোসেন বল করেছিলেন ফুল লেন্থে। লেগ স্ট্যাম্পের বেশ অনেকটা বাইরেই পিচ করছিল বলটা। ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে থাকা মিরাজও অনেকটা জায়গা ছেড়ে খেলতে চাইলেন বলটাকে। বল মিরাজের পায়ে আঘাত করে ভেঙে দেয় স্ট্যাম্প। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজের ১৮ বলে ২৯ রানের ইনিংস থামে সেখানেই।
তবে বিপত্তি বাধে এরপরেই। মিরাজ উঠে দাঁড়াতে চেয়েও পারেননি। বরং পায়ের ব্যাথায় সেখানেই বসে পড়েন। তামিম ইকবাল-এবাদত সবাই এগিয়ে এসেছেন। মাঠে একপর্যায়ে ডেকে আনা হয় ফিজিও। কিন্তু সেখানেও সুস্থ করা যায়নি খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মিরাজকে। শেষ পর্যন্ত ডেকে আনা হয় স্ট্রেচার। মিরাজকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্ট্রেচারে চড়ে।
এবাদতের জন্য এই উইকেট অবশ্য বিশেষ কিছুই। ২০২৩ সালে এসিএল ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন বেশ অনেকটা দিন। ফিরেছেন এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে। সেখানে নিয়মিত উইকেটও পেয়েছেন। তবে বিপিএলের মতো বড় মঞ্চে ফিরে আসার দিন ছিল আজই। আর সেটাকে রাঙিয়েও রেখেছেন তিনি। মিরাজকে করেছেন বোল্ড। বহুদিন পর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দেখা গেল এবাদতের সেই চিরচেনা স্যালুট।
এর আগে নাইম শেখকে নিয়ে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে খুলনাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন মিরাজ। ৫.৩ ওভারে আউট হওয়ার আগে দুজনের উদ্বোধনী জুটি থেকে এসেছে ৪৭ রান। বাকি ৩ বল থেকে এসেছে আরও ৯ রান। পাওয়ারপ্লে শেষে খুলনার স্কোরবোর্ডে ছিল ৫৬ রান।