বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়া প্রবাসী কর্মীদের কোয়ারেন্টিনের জন্য তেলসমৃদ্ধ দেশটির হোটেলে থাকতে হবে। সৌদিপ্রবাসী কর্মীদের হোটেলে থাকার জন্য ভর্তুকি দেবে সরকার। এর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যগামী প্রবাসী কর্মীদের বয়স শিথিল করার বিষয়টিও সরকার বিবেচনা করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর দপ্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান।
আব্দুল মোমেন জানান, সৌদি আরবে গেলে প্রবাসীদের এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে সৌদি সরকার তাদের কোয়ারেন্টিনের জন্য যেসব হোটেল নির্ধারণ করেছে, সেগুলো অনেক ব্যয়বহুল। প্রবাসীদের এসব হোটেলে যেতে আগ্রহ কম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, প্রবাসীরা সৌদিতে গেলে আমরা সাবসিডি দেব। বিষয়টি নিয়ে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে আমি আলাপ করেছি।’
তিনি জানান, ভারত থেকে যেসব বাংলাদেশি দেশে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে ১৩ জনের কোভিড আর একজনের ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ ধরা পড়েছে। এটা নিয়ে প্রচারণা বেশি হওয়ায় সবাই ভয় পাচ্ছেন, যেন বাংলাদেশে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট খুব বেশি। এর ফলে বিভিন্ন দেশ রেড অ্যালার্ট দিয়ে রেখেছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, বাহরাইন ও দক্ষিণ কোরিয়া তাই বাংলাদেশের ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এসব দেশ ভাবছে, ভারতীয় লোক এখান থেকে যাবে ওদের দেশে, আর এই অসুখ ছড়াবে। তবে সৌদি আরব একমাত্র ওপেন। তবে সৌদি আরবেরও এটা নিয়ে ভয়। তাই বাংলাদেশ থেকে কেউ সৌদি গেলে হোটেলে সাত দিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে।
দুই ডোজ টিকা আর পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট নিয়ে গেলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয় না। তাই সেখানে যেসব কর্মী যাবেন, তাঁদের জন্য টিকা প্রদানে বয়স শিথিল করার কথা ভাবছে সরকার।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দুই ডোজ টিকা নেওয়া থাকলে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকা লাগে না। বিদেশে কর্মীরা তখন সরাসরি বাসায় যেতে পারেন। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রবাসীদের বয়স বেশির ভাগ ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। আর আমরা টিকা দিচ্ছি ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের। তাই মধ্যপ্রাচ্যগামী প্রবাসীদের টিকা দিতে বয়স শিথিলের চিন্তা করছি। শুক্রবার একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক আছে, সেখানে এই প্রস্তাব দেওয়া হবে।’