পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে সেলিব্রেটিদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টায় কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি। সম্প্রতি বেশ কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে দলে ভিড়িয়েছে। তৃণমূল থেকেও বেশ কয়েকজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেত্রী ও কিংবদন্তি অভিনেত্রী শতাব্দী রায়।
সম্প্রতি তৃণমূলের সমর্থন ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। এর আগে নায়ক যশ ও অভিনেতা রুদ্রনীল যোগ দেন। শতাব্দী রায়ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন এমন গুঞ্জন চাউর হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল ছাড়া হয়নি শতাব্দীর। তবে ক্ষোভ রয়ে গেছে।
নায়ক-নায়িকারা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কেন অন্য দলে ভিড়ছেন এমন প্রশ্নে শতাব্দীর সাফ জবাব—নিজের দলের কাছে সম্মান পেলে অন্য দলে যেতেন না তৃণমূল নেতাদের একাংশ।
বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিজেপিতে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে শুক্রবার প্রশ্ন করা হলে শতাব্দী বলেন, ‘দল একটু চেষ্টা করলেই এই নেতা, এমপি, বিধায়কদের দলে ধরে রাখতে পারত। ছোটখাটো সমস্যার সমাধান করলে তারা দলে থেকেও যেতেন।’ শতাব্দীর কথায় অনেকে মনে করছেন, ওই সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে তৃণমূলের কমতি রয়েছে।
প্রসঙ্গত শতাব্দী নিজেও তৃণমূল ছাড়ার বিষয়ে প্রায় মনস্থির করে ফেলেছিলেন। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সে কথা জানিয়েও ছিলেন। দিল্লি গিয়ে তার দেখা করার কথা ছিল বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতা অমিত শাহের সঙ্গে। সেই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বীরভূমের এমপিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের অঘোষিত দুই নম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোর এবং দলের মুখপাত্র সংসদ সদস্য কুণাল ঘোষ।
ওই বৈঠকের পর শতাব্দী জানান, তিনি তৃণমূলেই থাকছেন। বলেন, এমন কঠিন সময়ে দল ছাড়া উচিত নয়।
শুক্রবারও সে কথাই পুনরাবৃত্তি করেছেন এই সাংসদ। শতাব্দী বলেন, ‘দল ভাঙানো তো বহুদিনের প্রক্রিয়া। নতুন ঘটনা নয়। তবে যারা এই প্রক্রিয়ায় পড়ে দলবদল করছেন, তাদের বলব— সামনে ভোট। দলের এখন খারাপ সময়। এই সময়ে অন্তত দলকে ছাড়া উচিত নয়।’