1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ পূর্বাহ্ন

সেরাম থেকে আরও ৪ কোটি টিকা কিনতে চায় বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শুক্রবার, ৫ মার্চ, ২০২১

কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকারিভাবে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার দুটি চালান বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। দুই দফায় আসা ৭০ লাখ টিকা দেওয়া হচ্ছে দেশব্যাপী। এই টিকার বিরূপ কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে কয়েকজন টিকা নেওয়ার পরও আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সেই সংখ্যা এখনও সিঙ্গেলে ডিজিটে।

বাংলাদেশ সরকার এরইমধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্টাজেনেকার এই টিকার আরও ৪ কোটি ডোজ কিনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগযোগ করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নানকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স বলেছে, ‘আলোচনা চলছে, এখন দেখা যাক’।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহামারি মোকাবিলার লক্ষ্যে আরও তিন কোটি ডোজ টিকা আমদানির নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গতবছর নভেম্বরে যে চুক্তি হয়েছিল, তার মধ্যে দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে।
তার আগে ভারত সরকার করোনায় চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে যে ২০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছিল, সেটাও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যা তারা বাজারজাত করছে কোভিশিল্ড নামে।
সেরাম থেকে গত ২৫ জানুয়ারি টিকার প্রথম চালান হাতে পাওয়ার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে গণ টিকাদান শুরু হয়। গত এক মাসে অর্থকোটির বেশি মানুষ এ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশের মত।
নভেম্বরের চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বিপুল চাহিদার কারণে সেরাম দ্বিতীয় চালানে মাত্র ২০ লাখ ডোজ পাঠিয়েছে।

এমতাবস্থায় বাংলাদেশ আরও ৪ কোটি টিকা আমদানি করতে চাইছে। এ বিষয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশ নতুন করে টিকা কেনার যে চেষ্টা শুরু করেছে, সে বিষয়ে সেরাম ইনস্টিটিউট কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতের সেরাম থেকে কেনা টিকা সরবরাহ করছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। তারাই বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড টিকার ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’।

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা নতুন করে টিকা কেনার বিষয়ে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নতুন করে টিকা কেনার কোনো আদেশ তারা দেননি। এখন পর্যন্ত মোট তিন কোটি ডোজের অর্ডারই তারা দিয়েছে। সরকার চাইলে নতুন আদেশ দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বে টিকা উৎপাদনকারী সবচেয়ে বড় কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটি রোজ গড়ে ২৪ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করছে।

টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে তাদের প্রথম অগ্রাধিকার ভারত। বিপুল জনসংখ্যার দেশটিতে কয়েক কোটি ডোজ সরবরাহ করতে হচ্ছে। এর বাইরে বাংলাদেশ ছাড়াও ব্রাজিল, মরক্কো ও দক্ষিণ আফ্রিকায় তারা টিকা সরবরাহ করছে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব