করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ফ্রন্টলাইনের যোদ্ধাদের টিকা দেয়া শেষে এখন ৮০ বছরের বেশি বয়সী সাধারণ নাগরিকদের টিকা দিতে শুরু করেছে কানাডা।
আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে সব ধরনের বিধি-নিষেধ তুলে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে কানাডার স্বাস্থ্য বিভাগ।
দেশটি টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে পরলেও যা দেয়া হয়েছে সেগুলো অসাধারণভাবে কাজ করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে পাবলিক হেলথ এজেন্সি।
কানাডার জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এখন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আগের প্রাক্কলনের চেয়ে বেশি মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
দেশটিতে টিকা বিতরণ কর্মসূচির প্রধান মেজর জেনারেল ড্যানি ফর্টিন বলেন, ‘ভ্যাকসিনের সরবরাহ সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছি। বসন্ত ও গ্রীষ্মে পর্যাপ্ত পরিমাণ সরবরাহ পাওয়া যাবে। এর ফলে প্রদেশগুলোতে ভ্যাকসিনেশনের গতি লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়াতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘মার্চ শেষে দুই কোম্পানির ৬০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহের যে কথা ছিল তা পূরণ করার পথে রয়েছি। এর মধ্যে ফাইজার সরবরাহ করবে ৪০ লাখ ও মডার্না ২০ লাখ ডোজ। মডার্না এখন পর্যন্ত কানাডায় ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। আগামী সপ্তাহে তারা ১ লাখ ৬৮ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মার্চের মধ্যেই যাতে মডার্নার কাছ থেকে ১৩ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যায় সেজন্য কোম্পানিটির সঙ্গে আলোচনা চলছে। দুই চালানে সেটি আসবে।’
এরআগে টিকা কর্মসূচির ধীরগতির কারণে বিরোধীদল ও সমালোচকদের চাপের মুখে পড়তে হয় ফেডারেল সরকারকে। জানুয়ারিতে সরবরাহ কমিয়ে দেয় ফাইজার। সাম্প্রতিকও সরবরাহ কমিয়েছে মডার্নাও। সরবরাহ সংকটের কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় টিকা কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়ে কানাডা।
সম্প্রতি এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কানাডার জনস্বাস্থ্য এজেন্সির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ কমার পর স্বাভাবিকতায় ফিরেছে ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার ভ্যাকসিন সরবরাহ।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৭২ হাজার ৭শ’ ৪৭ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছেন ২২ হাজার ৪৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২০ হাজার ৪শ’ ৫০ জন।