ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় একটি আয়রণ সেতু ভেঙে পাথর বোঝাই ট্রাকসহ খালে পড়ে গেছে। আজ বুধবার দুপুরে রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সড়কের সাতানি বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরে দুই উপজেলার সঙ্গে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কাঁঠালিয়ার সেন্টারেরহাট এলাকায় একটি সড়কের সংস্কার কাজ চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালামাল ট্রাকে করে রাজাপুর-কাঁঠালিয়া সড়ক দিয়ে নেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে পাথরবোঝাই একটি ট্রাক সাতানি বাজার সংলগ্ন আয়রণ সেতুতে ওঠে। ট্রাকটি মাঝখানে গেলে সেতু ভেঙে খালে পড়ে যায়। বর্তমানে ছোট নৌকায় করে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে দুর্ভোগে পড়েছে শিশু, নারী ও বয়স্করা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আশির দশকে সাতানি খালের ওপর ৫৪ মিটার একটি আয়রণ সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ। এর পরেও অনেকে ওই পথ দিয়ে যাতায়াতের কারনে সেতুটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এ অবস্থায় সওজ কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ লিখে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্পব হাওলাদার বলেন, দুপুরে ট্রাকটি সেতুর মাঝখানে উঠলে বিকট একটি শব্দ হয়। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখি সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে গেছে। ট্রাকইটিও খালের ভেতরে পড়ে যায়। এটি ঝুঁকিপূর্ণ একটি সেতু, এখানে পাথর ভর্তি ট্রাক ওঠা ঠিক হয়নি। আমরা এখন নৌকায় যাতায়াত করছি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মনজু হাওলাদার বলেন, দুর্বল সেতুতে ভারি যানবাহন চলাচল করা নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও পাথর নিয়ে ট্রাক ওঠায় সেতুটি ভেঙে আমাদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। সেতুটি অল্প সময়ের মধ্যে সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
ছিটকি গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ায় এই সড়ক দিয়ে রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলার যোগযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন করে আরেক দফায় ভোগান্তিতে পড়েছি।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, ৫৪ মিটার লম্বা আয়রণ সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় আমরা ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সাইনবোর্ড ঝুঁলিয়ে দিয়েছিলাম। তার পরেও অনেকেই ভারি মালামাল নিয়ে সেতু পার হচ্ছে, এ কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালামাল নেওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে যায়। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে ভেঙে পড়া সেতুতে বেইলি সেট করার কাজ শুরু করেছি। তিন-চার দিনের মধ্যে আশাকরি বেইলি সেট হয়ে যাবে।