নিজের পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেঁধে মোটরসাইকেলের পেছনে মাকে বসিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ছেলে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়। প্রশংসার সাগরে ভাসতে থাকে ছেলে। মোটরসাইকেলে পেছনে থাকা সেই মা এখন সুস্থ। তিনি সুস্থ হয়ে ছেলের মোটরসাইকেলে করেই বাড়ি ফিরেছেন।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ছেলের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছেন ওই মা। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারী শিক্ষিকা, নাম সেলিনা পারভিন। মোটরসাইকেল চালক তার ছেলের নাম জিয়াউল হাসান। তিনি কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠী শাখার কর্মকর্তা।
জিয়াউল হাসান জানিয়েছেন, গত ১৭ এপ্রিল তার মায়ের অক্সিজেন লেভেল নেমে যাওয়ায় অক্সিজেন সিলিন্ডার পিঠে বেঁধে মোটরসাইকেলের পেছনে তার মাকে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর আগে তার মায়ের করোনা শনাক্ত হয়। পাঁচদিনের চিকিৎসায় তার মা এখন সুস্থ। এছাড়াও করোনামুক্ত।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রেখে মোটরসাইকেল চালক নিজের শরীরের সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডার গামছা দিয়ে বেঁধে রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে এমন একটি ছবি দেখা যায়। ছবিটি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ গেট সংলগ্ন বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক থেকে তোলা। আর ছবিটি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট তৌহিদ মোর্শেদ টুটুল।