ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নির্বাচন কমিশন। এমনটা জানিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। আজ (রোববার, ৫ জানুয়ারি) সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উদ্বোধন করে কথা বলেছেন অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররাও।
বিগত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪-এর তিনটি বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনে ভোটাধিকার বঞ্চিত হয়েছেন ১৮ কোটি মানুষ, এবার তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন। তারা চায়, জাতিকে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে।
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর বাদ পড়া ভোটারদের তালিকাভুক্ত করতে ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি যাবে নির্বাচন কমিশনের তথ্য সংগ্রহকারীরা। রোববার এসব তথ্যসংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নেই- বলেও জানান তিনি। ১৮ কোটির মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে নির্বাচন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নির্বাচন কমিশন।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নিয়েছি ইনশাআল্লাহ। তাদের বঞ্চনা যেন আমরা ঘোচাতে পারি, তারা যে বঞ্চিত হয়েছে এতদিন, ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে তা আমরা ঘোচাতে চাই। তাদের এই বঞ্চনার যে কষ্ট তা আমরা দূর করতে চাই।’
এসময় নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ সিইসি।
সিইসি আরও বলেন, ‘মানুষের যে প্রত্যাশা, দেশবাসীর যে প্রত্যাশা এই সরকারের উপর যেমন খুব বেশি, তেমনি আমাদের কাচেও এই প্রত্যাশা কিন্তু খুব বেশি। গতানুগতিক পন্থায় চিন্তার কোনো সুযোগ নেই।’
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রস্তুতে প্রত্যেকটি ভোটারের তথ্য যাচাই করতে হবে।
আবুল ফজল সানাউল্লাহ বলেন, ‘বোটার তালিকা সংক্রান্ত আমাদের সন্দেহ সংশয়, দ্বিতীয় বাস্তবতা ছিল ভোটের প্রতি মানুষের অনাগ্রহ। এটি একটি বাস্তবতা যেখান থেকে আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা বের হয়ে আসবো।’
নির্বাচনকে যেভাবে কলুষিত করা হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ‘নির্ভাচন যেবাবে কলুষিত হয়েছে, সেটাকে পুনরূদ্ধার করার জন্য আমাদের যা যা করা লাগে তাই করবো ইনশাআল্লাহ।’
ভোটার তালিকা যত নির্ভুল হবে, নির্বাচন তত গ্রহণযোগ্য হবে বলে মত কমিশনারদের।