চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আটরশিয়া সীমানার ভেতরে প্রায় ১৫ বছর ধরে বসবাস করছে পাঁকা ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার মানুষ। তাদের সঠিক ভোটাধিকার না থাকায় সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশন এবং স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
অভিযোগে জানা গেছে- দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করলেও সীমানা জটিলতার কারণে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না তারা। তাদের দাবি-দুর্লভপুর ইউনিয়নের দুর্লভপুর মৌজার সীমানা নির্দিষ্ট করে ভৌগলিক সীমানা বিয়োজন করে পার্শ্ববর্তী পাকা ইউনিয়নের লক্ষীপুর-গৌরাঙ্গপুর ও বাবুপুর মৌজায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন জানিয়েছেন। এখনো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হয় ছিন্ন-বিচ্ছিন্নভাবে পাকা ইউনিয়নের বিভিন্ন পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রে। এ ছাড়া দুর্লভপুর ইউনিয়নের সীমানার ভেতরে পাকা ইউনিয়নের একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, একটি দাখিল মাদরাসা, একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চললেও কর্মকাণ্ড পাকা ইউপির দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় তাদের মধ্যে মানসিক বিবাদ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ওই এলাকার মানুষেরা উভয় ইউনিয়নের সুযোগ-সুবিধা ও বিভিন্ন প্রকার সেবা-উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
অভিযোগে আরো জানা গেছে- পাকা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনসহ দুজন ইউপি সদস্য দুর্লভপুর ইউনিয়নের সীমানার ভেতরে বসবাস করছেন। এই সীমানা নির্ধারণ জটিলতার কারণে ওই মৌজায় বসবাসকারী জনসাধারণ দুই ইউনিয়ণ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছেন না। দুটি ইউনিয়নের সীমানা বিবাদমান থাকায় ওই এলাকার কোনো ধরণের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে না। এমনকি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। ওই এলাকার জনসাধারণ সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন অবিলম্বে সীমানা নির্ধারণের সমস্যা সমাধান করে ভুক্তভোগীদের উন্নয়ন ও ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে দুর্লভপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজিব রাজু ও পাকা ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা দুই ইউনিয়নের সীমানা জটিলতায় ওই এলাকার ৩ হাজার মানুষ বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সীমানা নির্ধারণ করে সমস্যার সমাধাণের লক্ষে জোর দাবি করেছেন তারা।