1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

সীতাকুণ্ডে তীব্র যানজটে নাকাল হাজার হাজার যাত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে প্রতিদিন তীব্র যানজটে নাকাল হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। উপজেলাধীন মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কন্টেনার ডিপো ও কিছু কলকারখানার গাড়ি এ যানজটের অন্যতম কারণ বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে।

সর্বশেষ বুধবার (২৩ জুন) দুপুর থেকে তীব্র যানজট অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চরম দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার যাত্রী। এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের কোনো পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ করেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর পণ্যবাহী যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। বিশেষত সোনাইছড়ির ঘোড়ামরা এলাকায় কেডিএস লজেস্টিকের সামনে, কাশেম জুট মিলস বিএম কন্টেনার ডিপোর সামনে, শীতলপুর, মাদামবিবিরহাট, ভাটিয়ারী, ফৌজদারহাট ও সলিমপুরের বিভিন্ন স্থানে কিছু কারখানার সামনে প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্যবাহী গাড়ির কারণে যানজট নিত্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এতে এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস-কার-মাইক্রোসহ অন্যান্য যানবাহন দীর্ঘ সময় আটকে পড়ে। ফলে হাজার হাজার যাত্রীর অফিস টাইমসহ জরুরি কাজ ব্যাহত হয়। এ নিয়ে সর্বত্র চরম ক্ষোভ থাকলেও এসব বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের তেমন কোনো ভূমিকা পরিলক্ষিত হয় না।

সরেজমিনে উপজেলার সিটি গেট থেকে বড়দারোগারহাট পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, পুরো উপজেলায় মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি কন্টেনার ডিপো। এছাড়া আছে নানান কারখানা। এসব ডিপো ও কারখানা থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রচুর পণ্যবাহী গাড়ি মহাসড়কে উঠানামা করছে। এর মধ্যে অসংখ্য গাড়ি কন্টেনার ডিপোগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে থাকছে।

ফলে বুধবার মহাসড়কে দক্ষিণে শীতলপুর থেকে উত্তরে ছোটকুমিরা পর্যন্ত অন্তত ১০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এদিন দুপুর থেকে এখানে তীব্র যানজটে দীর্ঘ সময় আটকে পড়ে অসংখ্য যানবাহন। আটকে পড়েন বহু যাত্রী। আটকেপড়া এক যাত্রী আসলাম হাবীব ও টিটু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন প্রতিদিনই কয়েকটি কন্টেনার ডিপোর সামনের মহাসড়কে শত শত ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান ও লরি দাড়িয়ে থাকে।

আরো অনেক গাড়ি মহাসড়ক থেকে ডিপোতে এবং ডিপো থেকে মহাসড়কে নিয়মিত উঠানামা করে। এ সময় দূরপাল্লার সকল যানবাহন এখানে এসে দাঁড়িয়ে পড়তে বাধ্য হলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন এমন হলেও হাইওয়ে পুলিশ এসবের জন্য দায়ী প্রতিষ্ঠান বা গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপই নেয় না। এদিন রাতে সীতাকুণ্ড সদর থেকে চট্টগ্রাম যাবার পথে ছোটকুমিরা ইলিয়াছ পেট্রোল পাম্পের সামনে তীব্র যানজটে পড়েন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এসএম আল মামুন।

এভাবে যত্রতত্র মহাসড়ক দখল করে পণ্যবাহী গাড়ি দাড় করিয়ে রাখার কারণে মহাসড়কে যানজট ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে যেখানে সেখানে যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখায় মহাসড়কে তীব্র যানজটে পড়তে হচ্ছে আমাদের।

বুধবার রাতে তিনি ৪-৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে প্রচুর দুর্ভোগের শিকার হন বলে জানান। এদিকে এভাবেই প্রতিদিন যানজটে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী হাজার হাজার যাত্রী ও গাড়ি চালকরা দুর্ভোগের শিকার হলেও এ নিয়ে কোনো মাথা-ব্যথা নেই হাইওয়ে পুলিশের।

এ বিষয়ে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আসলে কেডিএস লজেস্ট্রিকের জন্য মহাসড়কে যানজট বেশি হচ্ছে। তাদের ডিপো থেকে প্রচুর গাড়ি মহাসড়কে আসা যাওয়া করে। বুধবার দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত তিনিও সেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন জানিয়ে বলেন, আমরা খুব চেষ্টা করছি এ যানজট দূর করার। রাত ৯টার দিকে সড়ক যানজট মুক্ত হয়েছে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব