1. [email protected] : দেশ রিপোর্ট : দেশ রিপোর্ট
  2. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  3. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে ফিরে যেতে হবে: মির্জা ফখরুল ইসলামাবাদের সব মার্কেট বন্ধ ঘোষণা, বড় অভিযানের শঙ্কা শেখ হাসিনাসহ অর্ধশতাধিকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে হেফাজতের অভিযোগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না : তারেক রহমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেনের পার্লামেন্টারি গ্রুপের প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে আবারও পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রাম আসছে পণ্যবাহী সেই জাহাজ বাংলাদেশ ব্যাপক শ্রম সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ড. ইউনূস তাহসানকে পেয়ে আনন্দিত শাকিব খান বিস্ফোরক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান নারায়ণগঞ্জে এয়ার ফ্রেশনার রিফিলের সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১০

সিলেটে ৩ খুনে সন্দেহের তালিকায় গৃহকর্তা

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১

সিলেটের গোয়াইনঘাটে মা ও দুই সন্তানকে খুনের ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় আছেন গৃহকর্তা হিফজুর রহমান (৪০)। তিনি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি অনেকটা সুস্থ হলেও পুলিশের সঙ্গে অসংলগ্ন কথা বলছেন।

এর আগে গতকাল বুধবার সকাল সাতটার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামে হিফজুর রহমানের স্ত্রী আলিমা বেগম (৩০), তাঁদের বড় ছেলে মিজানুর রহমান (১২) ও ছোট মেয়ে তানিশা বেগমের (৩) লাশ পাওয়া যায়। আহত অবস্থায় পাওয়া যায় হিফজুর রহমানকে। পরে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, তিনজনের লাশ ও গৃহকর্তা হিফজুরকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের ঘটনায় পূর্বশত্রুতার বিষয় সামনে নিয়ে তদন্ত করা হয়। তবে সেখানে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কলহ নিয়েও তদন্ত করছিল পুলিশ। এতে কিছু রহস্যের সন্ধান পাওয়া যায়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বঁটি হিফজুরের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হিফজুরের আচরণ এবং তাঁকে যে অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি অনেকটা সন্দেহজনক।

ঘটনা তদন্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পুলিশ দুটি দিক নিয়ে তদন্ত করেছে। এর মধ্যে একটি জমিজমা নিয়ে বিরোধ এবং অন্যটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ। এ জন্য কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একটি দিকে অনেকটা অগ্রসর হয়েছে। পুলিশের ধারণা, হিফজুর স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারেন।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হিফজুরের শরীরে আঘাতগুলো তেমন গুরুতর নয়। এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁর মাথা ও পায়ের আঘাতগুলো তিনি নিজে নিজেই করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ঘরের দরজা ভাঙার কোনো নিশানা মেলেনি। বর্তমানে হিফজুর কেবিনে আছেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন কৌশলে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তিনি সেটি এড়িয়ে গিয়ে অসংলগ্ন কথা বলছেন।

ঘটনার দিন ভোরে ফোন করেছিলেন হিফজুর
গতকাল ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার দিকে হিফজুর তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন দিয়ে তিনজনকে ফোন দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দুজন স্থানীয় বাজারে পান-সুপারির ব্যবসা করেন। অন্যজন ফয়েজ মিয়া (৪০)। ফয়েজের বিয়েতে উকিল বাবা ছিলেন হিফজুর রহমান।

পুলিশ বলছে, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফয়েজ মিয়াকে ফোন দিয়ে কিছু টাকা নিয়ে বাড়ি আসতে বলেছিলেন হিফজুর। ওই সময় তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।

অন্যদিকে স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন ও সোহেলকে ভোর সোয়া পাঁচটা এবং পৌনে ছয়টার দিকে ফোন দিয়েছিলেন হিফজুর। ওই সময় তিনি অসুস্থ থাকায় পান-সুপারি দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তাঁদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মামলা হয়নি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৩ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব