সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের স্থাপনায় বৃহস্পতিবার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকে মার্কিন সেনাদের অবস্থানে সাম্প্রতিক রকেট হামলার জবাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। বহু আহতের খবর পাওয়া গেছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর বরাতে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
হামলার কথা স্বীকার করে পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশনায় মার্কিন সামরিক বাহিনী সিরিয়ায় ইরানসমর্থিত মিলিশিয়াদের ব্যবহৃত স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর নেতৃত্বাধীন মিত্র বাহিনীর সেনাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হামলার জবাব হিসেবে এই বিমান হামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পেন্টাগনের তথ্যানুসারে, সাতটি লক্ষ্যবস্তুতে সাতটি ৫০০-এলবি জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিউনিশন-গাইডেড বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র পাচারে সশস্ত্র গোষ্ঠীর ব্যবহৃত একটি সংযোগস্থলও হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে।
কিরবি বলেন, কাতায়েব হিজবুল্লাহ ও খাতিব সাইয়িদ আল শুহাদাসহ ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীর ব্যবহৃত সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ পয়েন্টের বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
আর একডজনের বেশি ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। যদিও এ নিয়ে পেন্টাগনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংস্থাটির প্রধান রামি আবদুল রহমান বলেন, গোলাবারুদবাহী তিনটি ট্রাক ধ্বংস হয়েছে। ব্যাপক হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তথ্য বলছে– অন্তত ১৭ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তারা সবাই পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সের সদস্য। এ ছাড়া হাশেদ আল শাবির সদস্যরাও নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়, মার্কিন হামলা ছিল সমানুপাতিক। কূটনৈতিক পদক্ষেপের সঙ্গে সমন্বয় করে এই বিমান হামলা। জোটমিত্রদের সঙ্গেও আলাপ করা হয়েছে।