পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া ইটভাটা চালানোর অপরাধে সাতকানিয়ায় পাঁচটি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে উপজেলার এঁওচিয়া ইউনিয়নের চূড়ামনি ও ছনখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় অবৈধ ইটভাটার চিমনি।
একইসঙ্গে ধ্বংস করা হয়েছে কাঁচা-পাকা ইট। ইটভাটাগুলো হল- এওচিয়ার মেসার্স খাজা ব্রিকস, মেসার্স মা ব্রিকস,মেসার্স আরবিএম ব্রিকস, মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস কোম্পানী ও ছনখোলার মেসার্স কাজী এম ব্রিকস।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নূর হাসান সজীবের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ, র্যাব, ফায়ার, সার্ভিস, আনসার ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশ।
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘদিন বিরতির পর হাইকোর্টের নির্দেশে তৃতীয় দফা অভিযান চালিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান সরোয়ার জামালের স্ত্রী রহিমা বেগমের মালিকানাধীন থ্রি স্টার ব্রিকস,আফসার উদ্দিনের ও নুরুল আলমের মালিকানাধীন ফোর বিএম এবং মো. বাবুল ও জাকারিয়ার মালিকানাধীন ফাইভ বিএম নামে তিনটি ইটভাটা উচ্ছেদ করে।
এরও আগে গত জানুয়ারি মাসে দুই দফা অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয় কেঁওচিয়া তেমুহনী আবু তাহেরের শাহজালাল ব্রিকস (এসবিএম) ও মাদারবাড়ির শামসুল ইসলামের মালকানাধীন সেভেন বিএম ব্রিকস, এওচিয়া ছনখোলা এলাকার হাজী দানুমিয়া ব্রিকস, চূড়ামনির লটমনি এলাকার এএসসি ব্রিকস। যদিও অল্পদিনের ব্যবধানে আবারো এসব ইটভাটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাতকানিয়ায় অভিযান চালিয়ে পাঁচটি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। একইসঙ্গে অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো বিপুল কাঁচা-পাকা ইট ধ্বংস করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান আছে। সাতকানিয়ায় আজ (মঙ্গলবার) ৫টি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করা হবে।
ইতোপূর্বে উচ্ছেদ করা অবৈধ ইটভাটাগুলো ড্রাম চিমনি দিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে —এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর উচ্ছেদ করেছে। পরবর্তী কাজ স্থানীয় ইউএনও, এসিল্যাণ্ড ও ওসির। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ তাদেরই নিতে হবে।
প্রসঙ্গত চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে ফসলি জমিতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘেঁষে উপজেলার মৌলভীর দোকান থেকে কেরানীহাট পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় ৩৩টির ও বেশী এঁওচিয়া ইউনিয়নের বাঁশখালী সীমান্তে চুড়ামনিতে ১৭টি, সাতকানিয়া রাস্তার মাথা-সাতকানিয়া সদর এলাকায় ১০টির ও বেশী ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশেরই পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের ছাড়পত্র নেই।