নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিগ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টাড মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইা পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএইছ এম মোসলেহ উদ্দিন নিজামের আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত শুনানি শেষে ১২ জন আসামিকে উক্ত মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
গ্রেপ্তার দেখানো আসামিরা হলো, কোম্পানীগঞ্জের বাসিন্দা ইউসুফ নবী, আবদুল আমিন, আলমগীর, রাহাত, আজিজুল হক মানিক, ফয়সাল আলম টিটু, বিক্রম চন্দ ভৌমিক, সুজায়েত উল্যাহ, দেলোয়ার, মো. সেলিম, মাসুদুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিবদমান কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫টি মামলা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন মামলায় এ পর্যন্ত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামালায় তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ১২ জনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পিবিআই নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুন্সী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও গ্রেপ্তার কৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ আসামিকে শোন অ্যারেস্টের দেখানোর জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করলে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশির হাট পূর্ব বাজারে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাইব সুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষের মুখে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ ৭-৮ জন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান মুজাক্কির।
এ ঘটনায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।