1. [email protected] : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. [email protected] : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. [email protected] : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. [email protected] : অনলাইন : Renex অনলাইন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

সময়ের অপেক্ষায় ট্রাম্প

নিজস্ব সংবাদদাতা
  • শনিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর প্রথম মুখ খুলেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার ফ্লোরিডার ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল গলফ ক্লাবে ডিনারে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কী করবেন এখন? জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, ‘কিছু একটা করব, কিন্তু এখনই নয়।’

ওয়াশিংটন এক্সামিনার নামের রক্ষণশীল একটি সংবাদমাধ্যম স্থানীয় গতকাল রাতে প্রথম এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।

গত বুধবারের পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নীরবই ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করা বা কথা বলার সুযোগ পাননি। টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষিদ্ধ থাকায় ট্রাম্পের কোনো হালচালও কেউ জানতে পারছিলেন না।

স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি গতকাল জানান, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে কংগ্রেসে পাস হওয়া অভিশংসন প্রস্তাব আগামী সোমবার সিনেটে পাঠানো হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের আহ্বানে ক্যাপিটল হিলে তাঁর সমর্থকদের তাণ্ডবের জের ধরে কংগ্রেসে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। কংগ্রেসের সব ডেমোক্র্যাট সদস্য ছাড়াও রিপাবলিকান পার্টির ১০ জন সদস্য এই অভিশংসন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

মার্কিন সিনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারে দণ্ড নিশ্চিত করতে সিনেটে ১৭ জন রিপাবলিকানের সমর্থন প্রয়োজন। সময় যত গড়াচ্ছে, এমন সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ মনে হচ্ছে। সিনেটে সর্বোচ্চ ১০ জনের বেশি রিপাবলিকানের সমর্থন পাওয়া যাবে বলে এখনো মনে করা হচ্ছে না।

রিপাবলিকান পার্টির বেশির ভাগই ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা অভিশংসনকে নিজেদের দলের একটি কালিমা হিসেবে দেখছেন। পর্দার অন্তরালে এমন অভিশংসনপ্রক্রিয়া থেকে সরে আসার জন্যও ডেমোক্র্যাটদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। দ্বিতীয় দফা অভিশংসন দণ্ড নিশ্চিত হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। তাঁর সমর্থকেরা আশা করছেন, সবকিছু কাটিয়ে ট্রাম্প আবারও পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হবেন।

রিপাবলিকান রন জনসন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি অভিশংসন না তাঁর প্রশাসনের লোকজনের নিয়োগ নিশ্চিত করাকে জরুরি মনে করেন।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর প্রশাসনে যেসব সাংবিধানিক পদে নিয়োগ দিয়েছেন, এসব নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য সিনেটে রিপাবলিকানদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

পাশাপাশি শপথ গ্রহণের আগেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের লোকজনের জন্য ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের কোভিড প্রণোদনা প্রস্তাব ঘোষণা করেছেন। তাঁর এই প্রস্তাব জরুরি ভিত্তিতে কংগ্রেসে পাস করার জন্যও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ট্রাম্প এখন আর ক্ষমতায় নেই। আমেরিকার সংবিধানে ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়া কোনো প্রেসিডেন্টের এমন অভিশংসন নিয়ে আলোচনার কোনো নজিরও নেই।

সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা ডেমোক্র্যাট চাক শুমার এবং রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুত অভিশংসন নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করতে পারেন। সিনেটর চাক শুমার জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের যেকোনো দিন অভিশংসনের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে। সিনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে সুষ্ঠু ও ন্যায়সংগত বিচার হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

বিখ্যাত মার্কিন সাংবিধানিক আইনজীবী বাচ বাউয়ারসকে ট্রাম্প শিবির থেকে অভিশংসন মোকাবিলার আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

এমন অভিশংসনপ্রক্রিয়ার শুরুতেই ট্রাম্পের আইনজীবীরা অভিশংসনের বিপক্ষে তাঁদের সাংবিধানিক যুক্তিতর্ক তুলে ধরার অবকাশ পাবেন।

স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কোনো ছাড় দেওয়ার বিপক্ষে। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেপরোয়া আচরণ করে পার পেয়ে গেলে খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, কৃতকর্মের ফলাফল ভোগ করতে হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৪ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব