ঘটনাটি ঢাকার ওয়ারী এলাকার হেয়ার স্ট্রিটের। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাত তখন সাড়ে ১১টা। সড়ক প্রায় লোকশূন্য। এমন পরিস্থিতিতে ভবন থেকে কিছু একটা পড়ার শব্দ শুনতে পায় ঘটনাস্থলের কাছেই আড্ডারত কয়েকজন তরুণ। তখনই কাছে গিয়ে তারা দেখতে পান সদ্যভূমিষ্ঠ এক কন্যা শিশু মাটিতে পড়ে আছে। মুহূর্তেই তাদের চিৎকারে জড়ো হয় কিছু লোকজন।
নির্মমতার শিকার সদ্য জন্ম নেয়া শিশুটির মায়া কান্নায় ভারী হয়ে উঠে আশপাশ। সন্তানের প্রতি এমন নিষ্ঠুরতায় প্রত্যক্ষদর্শী অনেকের চোখেই পানি চলে আসে। দ্রুত শিশুটিকে নেওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটি এখনও বেঁচে আছে।
upay
নবজাতকটিকে উদ্ধারকারী অপূর্ব রবি দাস জানান, তারা কয়েক বন্ধু হেয়ার স্ট্রিট এলাকায় বসে গল্প করছিলেন। আনুমানিক সাড়ে ১১টায় দিকে হঠাৎ কিছু একটা পড়ার শব্দ পান তারা। এগিয়ে গিয়ে মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় নবজাতকটিকে দেখেন।
রবি দাস জানান, সেখানে একটি ১০ তলা ভবন রয়েছে। ভবনটির সামনের দিকে একতলা একটি টিনশেড ভবনও রয়েছে। ভবনের কোনও এক তলা থেকে কেউ শিশুটিকে ভূমিষ্ট হওয়ার পরপরই ছুড়ে মেরেছে বলে তার ধারণা। নবজাতকটি প্রথমে টিনশেডের ওপর পড়ে, সেখান থেকে ছিটকে মাটিতে পড়ে। তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় শিশুটি।
অপূর্ব আরও জানান, নবজাতকটি কন্যাশিশু। শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। কিন্তু নবজাতকটির কোনও অভিভাবক আসেনি। স্থানীয়দের পরামর্শে শিশুটিকে দ্রুত হাসপাতাল নেওয়া হয়। স্থানীয় হাসপাতাল শিশুটিকে না রাখায় সেখান থেকে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান তিনি। এখন শিশুটি সেখানে ভর্তি রয়েছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে। কে বা কারা নবজাতকটিকে ছুঁড়ে ফেলেছে সে তথ্য বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।