নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থেকে ভিন্নজগৎ সড়কের সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই উঠে পড়ছে কার্পেটিং।
এছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিংয়ে অসংখ্য ফাটল দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের উপকরণের ব্যবহার ও তদারকি কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে এমনটি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সরেজমিন জানা যায়, চলতি অর্থবছরে ভিন্নজগৎ সড়কের রাজিব ক্যানেলের ব্রিজ থেকে ছকিরবাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের টেন্ডার হয়। ৯৯ লাখ তিন হাজার টাকা চুক্তিতে নীলফামারীর তাসিন কনস্ট্রাকশন নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়।
তদারকি কর্মকর্তার যোগসাজশে এক সপ্তাহ আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেনতেনভাবে কাজ সম্পন্ন করেন। ফলে মুশা কমিউনিটি ক্লিনিকসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। এ ছাড়া নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার ও বিটুমিন কম দেওয়ায় কার্পেটিংয়ের বিভিন্ন স্থানে চিড় ধরেছে।
ওই সড়কসংলগ্ন মুশা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর সড়কের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। তদারকি কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে নিম্নমানের কাজ হয়েছে। সরকারের অর্থ ব্যয় হচ্ছে কিন্তু সঠিকভাবে কাজ হচ্ছে না।
ওই সড়ক সংস্কারকাজের তদারকি কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ এলজিইডি অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী জগোবন্ধু রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাজে গাফিলতির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, যেসব জায়গায় কার্পেটিং উঠে গেছে, তা ঠিক করে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মোজাফ্ফার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এলজিইডির নীলফামারী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার কর সড়ক সংস্কারকাজে অনিয়মের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ওই সড়কের কার্পেটিং উঠে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ওভার লোডের ড্রাম ট্রাক চলাচল করায় এমনটি হয়েছে। ঠিকাদার বলে দিয়েছি, এটা ঠিক করে দেবে।