যখন থেকে ঠিক করেছেন বেড়াতে যাবেন, তখন থেকেই প্রতিদিনের খরচের ব্যাপারে মিতব্যয়ী হোন। বাইরে খাওয়া, ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা, অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা বন্ধ করুন। বেঁচে যাওয়া অর্থ আপনাকে ভ্রমণের বাজেট বাড়াতে সাহায্য করবে। আরও ভালো হয়, যদি ভ্রমণের জন্য আলাদা করে টাকা জমাতে পারেন।
এটা ঠিক, খরচের কথা ভেবে অনেকেই শিশুদের নিয়ে দূরে কোথাও ভ্রমণ করতে চান না। ভ্রমণে শিশু থাকলে ব্যয় কিছুটা বেড়ে যায়। থাকার জায়গা আর যাতায়াত বিষয়ে দিতে হয় বাড়তি গুরুত্ব। তবে একটু কৌশলী হলেই কিন্তু খরচ কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
আগে থেকে বাজেট করে সে অনুযায়ী চললেও কিছুটা সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি কয়েক মাস আগে থেকেই ভ্রমণ পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাস্তবসম্মত বাজেট: বেড়ানোর আগেই বাজেট তৈরি করুন। যদি বাজেটের সঙ্গে ভ্রমণ খরচের মিল না থাকে, তাহলে আরেকটু সময় নিয়ে বাজেট বাড়ান অথবা আনুষঙ্গিক ভ্রমণ খরচ কমান। খেয়াল রাখুন, সঙ্গে শিশু থাকলে হঠাৎ করেই অতিরিক্ত খরচ করতে হতে পারে।
অফপিকে ভ্রমণ: শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ করতে চাইলে এমন সময় বেছে নেওয়া ভালো, যখন টুরিস্ট কম থাকে। অফপিক সময় হোটেলের খরচ এবং পরিবহন ভাড়া অনেকটা কম থাকে। তবে আবহাওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। খুব গরম বা ঠান্ডায় শিশুরা ঘুরে আরাম পায় না।
প্রয়োজনীয় মালামাল বহন করুন: সঙ্গে শিশু থাকলে বাড়তি কিছু জিনিস বহন করতেই হবে। সে ক্ষেত্রে দিন অনুযায়ী গুছিয়ে নিন। ওষুধ নেওয়া আবশ্যক। একটু সময় নিয়ে ব্যাগ গোছান, যেন অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে ভ্রমণ করতে না হয়। না হলে দেখা যাবে বিমানের নিয়ম অনুযায়ী বাড়তি টাকা দিতে হবে।