কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল বলেছেন, কোম্পানীগঞ্জ ছিল একটি শান্তির জনপদ। এই শান্তির জনপদকে বসুরহাটে নষ্ট করেছে আবদুল কাদের মির্জা। তারা কোম্পানীগঞ্জে রক্তের হলি খেলেছে।
তিনি আরও বলেন, চরফকিরাতে নষ্ট করেছে ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটন। লিটন সারাক্ষণ নেশা করে থাকে। তার কাছে অনেকে সালিশের জামানতের টাকা পাবে। একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা সমাবেশ ডেকেছিলাম। সে সমাবেশে কাদের মির্জার নির্দেশে হামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে পৌঁছে রাত সাড়ে ৮টার দিকে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হয়তোবা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাকে কারাগারে যেতে হয়েছে। আমি কারাগারে গেছি তাতে আমার কোনো দুঃখ নেই। কিন্তু আমি শান্তি চাই। কোম্পানীগঞ্জবাসী শান্তিতে থাকুক এটিই আমি চাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনীতি করতে হবে, দেশের উন্নয়ন করতে হবে, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। সে জন্য আমরা শান্তি চাই। আমরা শান্তির জন্য আন্দোলন করব। শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলন করব। কোনো অশান্তিপূর্ণ কায়দায় আন্দোলনে যাব না।
এ সময় তিনি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফ, মির্জা কাদেরের ভাগিনা ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল হক কচি, সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নুরে এ মামলা রাজু প্রমুখ।