1. msuzon.du@gmail.com : নিউজ ডেস্ক : নিউজ ডেস্ক
  2. maharaj.cu@gmail.com : Maharaj Hossain : Maharaj Hossain
  3. rajib.du1415@gmail.com : Rajib Ahmed : Rajib Ahmed
  4. support@renexlimited.com : অনলাইন : Renex অনলাইন
শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয় - Dainik Deshbani
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ খবর
ড. ইউনূস সরকারের মেয়াদ ৫ বছর চেয়ে অনশনে ছাত্রলীগ নেতা এবার রেলিগেশনের স্বাদ পেলেন এমবাপ্পে ফুটবল জাদুকর মেসির স্বপ্ন ২০২৬ বিশ্বকাপ: ফিটনেসই এখন উপলক্ষ্য শাস্তি বাড়ছে ভুয়া মামলার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে ব্যাট-বলের লড়াই চায় বিসিবি আইন পাস করে ইসরায়েলিদের নিষিদ্ধ করল মালদ্বীপ ধানমন্ডিতে গাড়ি থেকে চাঁদা আদায়, অভিযুক্ত সেই যুবক আটক লোহিত সাগরে হেরে গেল যুক্তরাষ্ট্র! নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের বাড়িতে আগুন জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা(NSI-র ) সাবেক ডিজি টিএম জোবায়েরের সীমাহীন দুর্নীতি: নিশ্চুপ দুদক। পাসপোর্ট বাতিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবহেলা সন্দেহজনক

শবে বরাতে করণীয় ও বর্জনীয়

Maharaj Hossain
  • বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান, শবে বরাত, লাইলাতুল বারাআত বা মুক্তি ও সৌভাগ্যেরজনী হিসেবে পরিচিত শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাত। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে ক্ষমা করেন। আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাইলে তিনি দান করেন। এবং মৃতদেরকে ক্ষমা করেন।

হাদিস শরীফে এই রাত সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে—

উম্মুল মু’মিনিন হজরত আয়েশা রা. বলেছেন, একদিন গভীর রাত্রে রসুলুল্লাহ সা. নামাজ পড়ছিলেন। নামাজ পড়ার সময় তিনি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দীর্ঘ সেজদা করেন। এভাবে দীর্ঘ সেজদা করতে দেখে, হজরত আয়েশা রা. এর ধারণা হয়, রসুলাল্লাহ সা. হয়তো নামাজ পড়তে গিয়ে ইন্তেকাল করেছেন।

হজরত আয়েশা রা. তখন তার সন্দেহ দূর করার জন্যে রসুলুল্লাহ সা. বৃদ্ধাঙ্গুলিটি ধরে নাড়া দেন। তাতে রসুলাল্লাহ সা. আঙুল নাড়িয়ে সাড়া দেন। এরপর রসুলাল্লাহ সা. সেজদা থেকে উঠে নামাজ শেষ করে হজরত আয়েশা রা. কে বললেন, হে আয়েশা! তোমার কি ধারণা, আল্লাহর রসুল তোমার হক নষ্ট করবেন? হজরত আয়েশা রা. তখন উত্তরে বলেন, না, ইয়া রসুলুল্লাহ।

আপনার দীর্ঘক্ষণ সেজদা করা দেখে আমি শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, আপনি হয়তো ইন্তেকাল করেছেন? তাই আমি আমার সন্দেহ মেটানোর জন্য আপনার আঙুল নেড়ে, আপনাকে পরীক্ষা করে দেখছিলাম আপনি জীবিত আছেন কি না।

নবীজি তখন আয়েশাকে রা.-কে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি জানো, আজকের রাতটি কী রাত? আয়েশা তখন নবীজিকে বলেন, আল্লাহ ও তার রসুলই আমার অপেক্ষা ভালো জানবেন আজেকের রাতটির তাৎপর্য কী?

তখন রসুলাল্লাহ সা. বললেন, আজকের রাতটি হলো অর্ধ শাবানের রাত। মহান আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে তার বান্দার সব প্রার্থনা মনোযোগ সহকারে শোনেন। যারা ক্ষমাপ্রার্থী তাদের পাপ ক্ষমা করে দেন। আর যারা অনুগ্রহপ্রার্থী তাদের অনুগ্রহ করেন, তাদের বরকত প্রদান করেন। আর যারা বিদ্বেষ পোষণকারী, তাদের ক্ষমা না করে তাদের নিজের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। (শুআবুল ঈমান, বাইহাকী ৩/৩৮২-৩৮৬)

ফজিলতের কারণে মুসলিম বিশ্বে রাতটি বিশেষভাবে উপযাপন করা হয়। অনেকেই মসজিদে গিয়ে ইবাদত করেন, তিলাওয়াত করেন। এই রাতের ইবাদত নিয়ে বেশ কিছু ভুল প্রচলন রয়েছে। তাই এই রাতের ইবাদত সম্পর্কিত করণীয় বজর্ণীয় বিষয়ে তুলে ধরা হলো এখানে—

শবে বরাতের করণীয়

>> ইশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করা উচিত এই রাতে। এই রাতে আমরা অনেকেই নফল ইবাদতে মগ্ন থাকি। রাত জেগে নফল ইবাদতের ফলে ফজর নামাজ পড়া হয় না। অথচ নফল ইবাদতের থেকে ফরজ ইবাদত গুরুত্বপূর্ণ।  কোনো ব্যক্তি ইশা ও ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করলে তিনি পুরো রাত নফল ইবাদত করার সওয়াব পান।

>> নফল নামাজ পড়া যেতে পারে। যেহেতু রাতটি বিশেষ ফজিলত পূর্ণ। রাসূল সা. নিজেও এই রাতে নফল নামাজ পড়েছেন, তাই আমরাও রাতটি নফল নামাজের মাধ্যমে কাটাতে পারি।

>> তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যেতে পারে এই রাতে। নফল ইবাদত হিসেবে তাহাজ্জুদ নামাজ প্রতি রাতেই পড়ার নিয়ম। তবে ইবাদতে অভ্যস্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের জন্য বছরের অন্যান্য রাতগুলো তাহাজ্জুদ পড়া কিছুটা কষ্টকর। তাই তারা এই রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন।

>> আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন এই রাতে। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করলে তা কবুলের সম্ভবনা রয়েছে। তাই নিজের ও অন্যের সমস্যা, প্রয়োজন নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত।

>> তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা। মানুষ হিসেবে আমরা প্রতিনিয়ত গুনাহ করে ফেলি। গুনাহের পর তাৎক্ষণিক তওবা করা নিয়ম। অনেক সময় অবহেলা করে তওবা করা হয় না। এই রাতে তওবা করে গুনাহ থেকে মাফ চাওয়া উচিত। তওবার নামাজ পড়া যেতে পারে অথবা সরাসরি দোয়ার মাধ্যমে তওবা করা যেতে পারে। তবে নামাজের পরে তওবা বেশি কার্যকরী।

>> কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে। কোরআন তিলাওয়াত মানুষকে আল্লাহ তায়ালার নিকটবর্তী করে। ফজিলতপূর্ণ এই রাত তিলাওয়াতে কাটানো উত্তম।

শবে বরাতে বর্জনীয়

>> শবে বরাত পুণ্যময় রজনী। এ রাত ইবাদতের মাধ্যমে কাটাতে হবে। হাদিসে বর্ণিত নেই এমন কোনো কাজ করা যাবে না এই রাতে।  এবং যেকোনো ধরনের নোংরা ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

>> শবে বরাতের মত পুণ্যময় রাতে আতশবাজি, পটকা ফোটানো যাবে না।

>> কেউ চাইলে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে। তবে এই দিনে ভালো খাবার তৈরি করা জরুরি মনে করা যাবে না।

>>  ইবাদত বাদ দিয়ে হালুয়া রুটি তৈরি করা অনুচিত। এ রাতে যেমন ইবাদতে সওয়াব রয়েছে ঠিক তেমনই গর্হিত কাজেরও শাস্তি রয়েছে।

>> এ রাতে বাড়িঘর, মসজিদ ও ধর্মীয় স্থাপনা আলোকসজ্জা থেকে বিরত থাকা উচিত। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা অপচয় কোরো না, নিশ্চয়ই অপচয়কারী শয়তানের ভাই।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৭)

>> পুরো রাত নফল ইবাদতে কাটিয়ে ফজর নামাজের মতো ফরজ ইবাদত কাজা করা যাবে না।

শেয়ার:
আরও পড়ুন...
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক দেশবানী
ডিজাইন ও উন্নয়নে - রেনেক্স ল্যাব